বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সরকারি, সরকার অনুমোদিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে গরমের ছুটি আরও বাড়তে পারে। এমনটাই জানা গিয়েছে। আরও ১৫ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হবে স্কুলে গরমের ছুটি। আগামী ২৭ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার, অর্থাৎ আজই নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে শিক্ষা দফতর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। অস্বস্তিকর গরমের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই খবর।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে রবিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কথা বলেন। আর তার ভিত্তিতেই শিক্ষা দফতর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেই খবর। এতদিন ১৫ জুন পর্যন্ত ছুটি ছিল, আরও ১৫ সেক্ষেত্রে বাড়ানো হলে, প্রায় গোটা জুন মাসই এই গ্রীষ্মের ছুটির আওতায় এসে যাবে।
চলতি বছরে গরমের দাপটে স্কুলে গরমের ছুটি শুধু এগিয়েই আসেনি, সেই সঙ্গে বাড়িয়েও দেওয়া হয়েছিল। এদিকে, গরমের দাপট বেড়েই চলেছে, বৃষ্টির কোনও ইঙ্গিত নেই। সেই কারণেই আরও ১৫ দিন ছুটি বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে রবিবারই।
এদিকে, অতিমারির কারণে বছর দুয়েক স্কুল বন্ধ থাকার পর, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে গিয়েছিল। তবে, এবার গরমের ছুটি এগিয়ে এবং বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সময় স্কুলে গরমের ছুটি কমিয়ে আনার দাবিও উঠেছিল। এবার ছুটি আরও বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সম্ভবনার কথা জানার পরেই বিভিন্ন মহল থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দাবি উঠছে ছুটি না বাড়িয়ে, সকালে স্কুল করারও।
সূত্রের খবর, রবিবার উত্তর ২৪ পরগণার পানিহাটিতে দণ্ড মহোৎসবে প্রচণ্ড গরমের কারণে ৩ জনের মৃত্যু এবং অনেকের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন। মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, এমন অত্যাধিক গরম চলতে থাকলে, স্কুল পড়ুয়ারা অসুবিধায় পড়বে। এরপরেই শিক্ষামন্ত্রীকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে চলতি বছরে সময়ের আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে এখনও বর্ষা প্রবেশ করেনি। দক্ষিণবঙ্গে এখনও অস্বস্তিকর গরম। তবে, এর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করলে, এবং পরিবেশ কিছুটা ঠাণ্ডা হলে, ফের ছুটি কমিয়ে স্কুল খোলা যায় কিনা, সেই বিষয়ে শিক্ষা দফতর পরিস্থিতি বিচার করে অন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।