‘৪ বছরের চাকরি, পরে কীভাবে চলবে?’ অগ্নিবীর প্রকল্পে চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছর করার দাবি মমতার
বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে ফের মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে ফের কেন্দ্রের মোদী সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অগ্নিবীরদের চাকরির মেয়াদ ৪ বছর নয়, পরিবর্তে ৬০ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে দিতে হবে। এদিন বর্ধমানের মাটি উৎসবের মঞ্চ থেকে এমনটাই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বর্ধমানের নবাবহাটের গোদার মাঠের প্রশাসনিক সভা থেকে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, উজ্জ্বলা প্রকল্পের মতোই লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে ৪ বছরের জন্য চাকরি দিচ্ছে বিজেপি সরকার।
এদিন বর্ধমানের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী কর্মসংস্থানের উপর গুরুত্ব আরপ করেন, জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন কর্মসংস্থানে জোর দিয়েছি। ওটাই আমার পাখির চোখ।’ এরপরই বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘আর অদের দেখুন, চার বছরের চাকরি দিচ্ছে। তারপর কী? ললিপপ চুষবে? চার বছরের চাকরি দিয়ে সারাজীবন চলবে তো?’ ২০২৪-এই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ভোট টানতেই, বিজেপি সরকার এই লোক দেখানো চাকরি দিচ্ছে বলেও খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, এর আগে ভোটের আগে উজ্জ্বলা প্রকল্পে কয়েকজনকে গ্যাস দিয়েছিল। কিন্তু ভোটের পর, বিজেপি সাংসদের ক’জনের চেহারা দেখেতে পেয়েছেন? প্রশ্ন তোলেন। তাঁর দাবি, এরপরেও বিজেপিড় লোক ভুলভাল বললেও, কেউ কিছু বলেন না। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের মোদী সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ নিয়ে ৪ বছরের চাকরি। বাকি জীবন কীভাবে চলবে? আমরা দাবি জানাচ্ছি, যাতে এই প্রকল্পের মেয়াদ ৪ বছর নয়। ৬০-৬৫ বছর পর্যন্ত তাঁদের চাকরি করতে দিতে হবে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে স্বল্প মেয়াদে চুক্তির ভিত্তিতে সেনা নিয়োগ করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে চলতি বছরে কেন্দ্রের মোদী সরকার ভারতীয় সেনা বাহিনীতে প্রায় ৪৬,০০০ তরুণকে নিয়োগ করবে। যাঁদের নাম দেওয়া হবে ‘অগ্নিবীর’। বয়সসীমা ১৭ থেকে ২১ বছর। পরে অবশ্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ২৩ করা হয়।
যাঁদের নাম দেওয়া হবে ‘অগ্নিবীর’। ‘অগ্নিবীর’দের মাত্র ৪ বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে। পরবর্তীকালে ইচ্ছুকদের স্থায়ীকরণ করা হবে। তবে, তা মাত্র ২৫ শতাংশ। ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই অস্থায়ী চাকরির মাধ্যমে ‘নিয়মিত ক্যাডার সেবায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনের সুযোগ’ থাকছে। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছে দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেওয়া পড়ুয়ারা। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন এবং ৪ বছরের মেয়াদ শেষে এককালীন ১১ থেকে ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। যা হবে সম্পূর্ণ করমুক্ত।