বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রামপুরহাট বগটুইকাণ্ডে এই প্রথম সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হল ৪ জন। এঁদের প্রত্যেকেই মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আবার দু’জনের নাম রয়েছে এফআইআর-এ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে যাদের নাম আগেই এফআইআর- এ আছে, তারা হল, বাপ্পা শেখ, সাবু শেখ।
উল্লেখ্য, বগটুইয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিট ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর থেকে, এই প্রথম সিবিআই গ্রেফতার করল ৪ জনকে বৃহস্পতিবার। সূত্রের খবর মুম্বই থেকে এই চারজনকে গ্রেফতার করছে সিবিআই। এঁদের মধ্যে দু’জনের নাম আগের সিটের এফআইআর-এ থাকলেও, জানা গিয়েছে, নতুন করে সিবিআই ‘রেগুলার কেস’ বা আরসি করে নতুন করে এফআইআর করেছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বই পালিয়ে গিয়েছিলেন এই চারজন ঘটনার পর। তবে, ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এদের ধরা হয়। সিবিআই- এর তদন্তকারীদের আশা, এদের জেরা করলেই, বগটুইকাণ্ডে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসবে। পাশাপাশি এও আশা করা হচ্ছে যে, এই চারজনকে জেরা করে ভাদু শেখ ঘনিষ্ঠ, আরও যাদের বিরুদ্ধে বগটুইয়ের ঘটনায় অভিযোগ রয়েছে, তাদেরও খোঁজ পাওয়া যেতে পারে।
রাজ্য সরকার এই ঘটনা সিট গঠন করে, সিটের হাতেই তদন্তভার ন্যস্ত করেছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে, তদন্তভার দেয় সিবিআই-এর হাতে। এরপর তদন্ত শুরু করে এই প্রথম সিবিআই এই চারজনকে গ্রেফতার করল। জানা গিয়েছে, মুম্বই থেকে তাদের গ্রেফতারের পর, ট্রানজিট রিমান্ডে রামপুরহাটের পথে নিয়ে আসা হচ্ছে। সূত্রের খবর, শুক্রবারই তাদের আদালতে তোলা হবে।
অন্যদিকে, সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ‘টাওয়ার ডাম্পিং’ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েই তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, ধৃত ওই চারজন ঘটনাস্থলে ছিলেন। বাপ্পা শেখ ও সাবু শেখের নাম এফআইআরে ছিল। তবে, বাকি দু’জনের নাম আনারুল-সহ বাকি অভিযুক্তদের জেরা করেই উঠে আসে বলে জনা গিয়েছে। তদন্তকারীরা এরপরই ‘টাওয়ার ডাম্পিং’ পদ্ধতির সাহায্য নিয়েই জানতে পারেন যে, অভিযুক্ত চারজন রামপুরহাট থেকে ট্রেনে মুম্বইয়ে গিয়েছেন। এরপরই মুম্বইয়ে জাল পেতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুন হন। এরপরই এই খুনের বদলা নিতে তাঁর গ্রাম বগটুইয়ে তাণ্ডব চলে তাঁর অনুগামীদের। একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে একটি বাড়িতে সাতজন পুড়ে মারা যান। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও দু’জন।