বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। বাংলায় দুর্যোগের ঘনঘটা। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা গিয়েছেন, তাঁদের সোমবার সন্ধের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে সতর্কতা হিসেবে। পর্যটকদের জন্যও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে। এদিকে এর মাঝেই মন্দারমণিতে সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হল দুই পর্যটকের। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর নাগাদ তাঁরা বেড়াতে এসেছিলেন মন্দারমণিতে।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে বেপরোয়াভাবে সমুদ্রস্নান উপভোগ করতে গিয়েই বিপদ নেমে আসে। সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হল দুই যুবক -যুবতীর। সন্ধের সময় তাঁদের উদ্ধার করেন কর্মরত নুলিয়ারা। এরপর দ্রুত বড়রাঙ্কুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মন্দারমণি উপকূল থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই পর্যটক হলেন কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকার বাসিন্দা বছর ২৩ এর স্বাধীন সরফরাজ এবং বছর ২২ এর বাসিন্দা সৃষ্টি গুপ্তা। ৬-৭ জনের একটি দল রবিবার দুপুর নাগাদ কলকাতা থেকে মন্দারমণিতে আসেন। এই দলে মৃত দুই পর্যটকও ছিলেন। প্রথমে তাঁরা দুপুরের খাওয়া সেরে সমুদ্রে স্নানে নামেন। এরপরই ঘটে বিপত্তি।
স্নানের সময় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে অনেকটা এগিয়ে যান। কিন্তু খুব বেশি সময় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে পারেননি ওই দুই তরুণ-তরুণী। জলের ধাক্কায় ক্রমেই গভীরে চলে যেতে থাকেন তাঁরা। এদিকে, সঙ্গী বন্ধুদের চিৎকারে স্পিড বোট নিয়ে ছুটে আসে উদ্ধারকারী নুলিয়াদের দল। ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ওই দুই পর্যটককেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করেন নুলিয়ারা।
এরপর তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মন্দারমণি উপকূল থানা থেকে মৃতদের পরিবারে ঘটনার খবর পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দেহ দুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা জানিয়েছেন, ‘পুলিশের বাধা সত্ত্বেও, তা উপেক্ষা করেই সমুদ্রে নেমে গিয়েছিলেন। জলের ঢেউ সামলাতে পারেননি। তাই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।’
- TAGS
- two
- tourist
- mandarmani
- sea