আদালতের নির্দেশে ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের টুম্পা রানী মন্ডলের। এরপর এই রবিবার তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে অযোগ্য প্রার্থী তালিকায় নাম থাকার কারণেই কি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন টুম্পা দেবী,?
নন্দীগ্রাম দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন টুম্পারানি। রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে চণ্ডীপুরের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওয়েবসাইটে আদালতে পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী অযোগ্য বলে চিহ্নিত ১৮৩ জনের নাম, রোল নম্বর, অ্যাপ্লিকেশন আইডি সহ কোন বিষয়ের এবং কোন ক্যাটগরিতে প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁর সমস্ত তথ্যই আপলোড করা হয়েছে। শুধু তালিকা প্রকাশ করাই নয়, অযোগ্য ওই প্রার্থীরা কোথায় চাকরি করছেন সেই তালিকাও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরিবার সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তালিকায় নাম দেখার পরই শিক্ষিকা এই ঘটনা ঘটান।
২০১৯ সালে চাকরি পান টুম্পারানি মণ্ডল। বছর চারেক হল বিয়ে হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর সংসার। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ১৮৩ জনের লিস্টের ছবি ভাইরাল হতেই রবিবার চণ্ডীপুরের টুম্পারানির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যদিও এ নিয়ে পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।