বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বর্তমানে অসুস্থ হতে হাসপাতালে ভর্তি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অণ্ডকোষ এবং শ্বাসকষ্টের নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে তাঁর। তিনি এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই বক্তব্য সিবিআই জেরা এড়াতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। এই আবহে এবার অনুব্রত মণ্ডল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপির বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে। উল্লেখ্য, রবিবার অনুব্রত মণ্ডলের অসুস্থতাকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কু-মন্তব্য করায় বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হল। জানা গিয়েছে, রবিবারই রাতে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি গোপাল শেঠ।
রবিবার সকালে এক পথসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, তৃণমূলের এই দাপুটে নেতাকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘বগটুই কাণ্ড আমরা দেখেছি। ১০ জন মানুষকে অসহায় অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে মারা হয়েছে। আর সেই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড অনুব্রত মণ্ডল এখন উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে আছে। আমার মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতকে ওই উডবার্ন ওয়ার্ডে থেকে ফিরতে দেবে না। কারণ, যদি তাঁকে ফিরতে দেয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যত কুকর্ম আছে সব সিবিআই-এর কাছে উগরে দিতে হবে।’ আর এই জন্যই তাঁকে মেরে ফেলা হবে বলেই স্বপন মজুমদার দাবি করেছেন।
এদিকে, থানায় এফআইআর দায়ের করার পর গোপাল শেঠ বলেন যে, ‘মুখ্যমন্ত্রী এবং অনুব্রত মণ্ডল নিয়ে স্বপন মজুমদার যে মন্তব্য করেছেন, তারপর আমাদের মনে হয়েছে বিজেপি এমন ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই আমরা চাই প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিক।’ তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ প্রশ্ন তুলেছেন যে, যে ঘটনার কথা সিবিআই জানে না, সেকথা বিজেপি কীভাবে জানল?
উল্লেখ্য, রবিবার গাইঘাটার চাঁদপাড়ায় চালুন্দিয়া নদী বাঁচাও অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। সেখানেই দাঁড়িয়েই তিনি ওই কু-মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, অনুব্রত মণ্ডল ফিরলে, সিবিআই-এর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সব কুকীর্তি ফাঁস করে দেবে। আর সিবিআই জানতে পারলে, ভাইপো, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সকলেই জেলে যাবে।
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন যে, ‘হাইকোর্ট রায় দিয়েছে উডবার্ন ওয়ার্ডে আর ভর্তি হওয়া চলবে না। এরপর পাবলিক গণধোলাই দিয়ে বের করে দেবে সবাইকে। অনুব্রত মণ্ডল ভাবছেন, উডবার্নের বেডে শুয়ে সিবিআইয়ের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। কিন্তু তা হবে না। আগামিদিনে অনুব্রতকে সিবিআইয়ের দরজায় যেতে হবে।’ এরপরই তিনি বলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলতে পারে। তাঁর এই মন্তব্যের স্বপক্ষে তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল ক্ষমতায় থাকতে সবকিছুই করতে পারে।