বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতারি জারি রয়েছে। এবার এই ধর্ষণ কাণ্ডে নয়া মোড়। এই ধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তথা গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সমরেন্দ্র গোয়ালিকে গ্রেফতার করল সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, গ্রেফতারির আগে বেশ কয়েকবার তাকে জেরা করাও হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। তবে, এদিন সমরেন্দ্র গোয়ালিকে গ্রেফতার করা হয়। শুধু সমরেন্দ্র গোয়ালিই নয়, তার বন্ধু পীযূষ ভক্তকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। প্রমাণ লোপাট এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগেই এই গ্রেফতারি।
সিবিআই সূত্রের খবর, হাঁসখালি কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল যে, ঘটনার পর থেকে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এখানেই শেষ নয়, ভয় দেখিয়ে দেহ সৎকার করতেও বাধ্য করা হয়েছে। আর সেই ঘটনায় সমরেন্দ্র গোয়ালির জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। জানা গিয়েছে আগামীকাল ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে।
এদিকে, আজ হাঁসখালি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্রজ গোয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার, আকাশ বাড়ুই, দীপ্ত গোয়ালিকে রানাঘাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ সুতপা সাহার এজলাসে তোলা হয়। এদিন অভিযুক্তদের আগামী ১৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিন আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। এদিন আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবী ছিলেন রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, অপূর্ব বিশ্বাস এবং বিশ্বজিৎ অধিকারী। আবার সিবিআই-এর পক্ষের আইনজীবী প্রবুদ্ধ কুমার রাও।
উল্লেখ্য, ৪ মার্চ বিকেল চারটে নাগাদ সোয়েল গোয়ালির জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। রাত আটটা নাগাদ তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরে নাবালিকা। ভোর চারটে পর্যন্ত ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পর, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই নাবালিকার দেহ দাহ করা হয় নাবালিকার বাবা এবং এলাকার দুই বাসিন্দার উপস্থিতিতে। এমনটাই এফ আই আর-এ উল্লেখ করেছিলেন নাবালিকার মা। অভিযুক্তদের আইনজীবীদের প্রশ্ন, এখনও পর্যন্ত সেই তিনজনকে যেন সামনে আনা হয়নি কেন? কেন দেরি করে এফআইআর করা হল সে প্রশ্নও তোলেন।
এছাড়াও আদালতের গোচরে আনা হয় যে, এই ঘটনায় ১০ মার্চ এফআইআর করা হয়। সেই এফআইআর-এ কোথাও হুমকির কোনও অভিযোগ ছিল না। কিন্তু সিবিআই দায়িত্ব নেওয়ার পর হুমকির উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য এদিন আদালতে এসব প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি।