বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের বকেয়া ১০৮ পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় প্রার্থী তালিকা ঘিরে বিক্ষোভ অব্যাহত। বিক্ষোভে পথে নেমেছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা, এই পরিস্থিতিতে দলের শাখা সংগঠন ও গণসংগঠনকে ‘দল যাকে প্রার্থী করবে, তাঁর সমর্থনে’ প্রচারের নির্দেশ দিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কীভাবে? তার নির্দিষ্ট রূপরেখায় স্পষ্ট করে দিল দল। দেখে নেওয়া যাক সেই নির্দেশিকায় কী কী বলা হয়েছে-
তৃণমূলের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে- ১) যাকে দল প্রার্থী করবে, তাঁর সমর্থনে দলের সব শাখা, গণসংগঠনকে প্রচারে নামতে হবে। ২) মিছিল, মিটিংয়ে নির্বাচন কমিশনের বিধি মেনে চলতে হবে। ৩) পুরভোটের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রচারে জোর। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীকে প্রচার করতে হবে ২বার। ৪) ট্যাবলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরতে হবে। ৫) আগের ভোটে যেসব এলাকায় বিরোধীরা এগিয়ে ছিল বা যাঁরা অন্যদলে ভোটার হিসেবে পরিচিত, তাঁদের বাড়ি বাড়ি দিয়ে কেন্দ্রীয় জনবিরোধী নীতি তুলে ধরতে হবে প্রার্থীদের। ৬) শুধুমাত্র এলাকায় উন্নয়ন বা স্থানীয় ইস্যু নয়, প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী ছবি-সহ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পেও জোর দিতে হবে। কীভাবে প্রতিটি পরিবারের বিভিন্ন বয়েসের সদস্যরা উপকৃত হয়েছেন, তা ব্যখ্যা করতে হবে। ৭) প্রচারে বাধা দিয়ে বিরোধীদের নাটক করার সুযোগ করে দেওয়া যাবে না। কোনও আপত্তিকর কাজ করলে, সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ও দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাতে হবে। ৮) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন উত্তরবঙ্গে ঢালাও কাজ ও জঙ্গলমহলে উন্নয়নের প্রচার করতে হবে। ৯) যাঁরা অন্য দল থেকে তৃণমূল আসতে চান, এমন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযাগ আরও বাড়াতে হবে। কেউ ফিরতে চাইলে, এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাতে হবে। ১০) প্রচারে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও পরিষেবামূলক কাজের উল্লেখ করতে হবে। এবার কী করতে চান, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তাও জানাতে হবে প্রার্থীদের। ১১) মানুষের ভোটে আস্থা রেখেই প্রচার করতে হবে। বাড়তি ভোটের জন্য এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না, যাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। ১২) বিরোধীদের গা-জোয়ারির মোকাবিলা করতে হবে আইনি পথেই। এক্ষেত্রে শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাজ্যের বকেয়া ১০৮ পুরসভায় প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তালিকা প্রকাশের ঘয়েক ঘণ্টা পরেই সেই তালিকা ফের বদল করা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সী সই করার পর, নয়া তালিকা পাঠিয়েও দেওয়া হয় প্রত্যেকটি জেলায়, জেলা সভাপতিদের।
তারপরেও কেন বিক্ষোভ? জানা যাচ্ছে, আইপ্যাক-কে দায়ী করছেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। যদিও প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সূত্রে দাবি, এই তালিকা বিভ্রাটের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। একটি তালিকা দিয়েছিল তারা। কিন্তু সেই তালিকায় যে বদল হয়েছে, তা জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, ফেসবুকে তালিকা আপলোডের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।