পুজো উপলক্ষে দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হলো ক্লাব থেকে। ক্লাবের সম্পাদকের উদ্যোগে হল এই বস্ত্র বিতরণ। যিনি নিজের শিক্ষকতার এক মাসের মাইনের টাকায় বস্ত্র দিলেন প্রায় ৩০০ মানুষকে। যাতে পুজোতে সবার মুখে হাসি ফোটে তাই এই উদ্যোগ। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা রামকৃষ্ণ ফ্যান ক্লাবের পক্ষ থেকে বস্ত্র বিতরণ করা হলো প্রায় ৩০০ এলাকাবাসীকে। আর এই বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির মূল উদ্যোক্তা ক্লাবের সম্পাদক বুলবুল খান। যিনি ওই এলাকার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত।
মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা যেন নেশায় পরিণত হয়েছে বুলবুল খানের। পেশায় তিনি একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। আর সেই বেতনের টাকায় পুজোর মাসে উদ্যোগ নিয়েছেন দুস্থ মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোর। পুজোর আনন্দ যে সবারই। দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। ৮ থেকে ৮০, ধনী থেকে দরিদ্র প্রত্যেকেই অপেক্ষা করে বছরের এই কয়েকটা দিনের জন্য। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে পূজোই অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না নতুন জামা কাপড় কেনার। আর যাদের পক্ষে সম্ভব হয় না তাদের পাশেই দাঁড়াল পিপলা রামকৃষ্ণ ফ্যান ক্লাব, দাঁড়ালেন বুলবুল খান। এলাকার ৩০০ জন মহিলাকে বুধবার নতুন শাড়ি দেওয়া হয়। পুজোর আগে নতুন শাড়ি পেয়ে খুশি এলাকার মহিলারা।
জানা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিভিন্ন জায়গাতেই বস্ত্র বিতরণ করা হবে পূজো উপলক্ষে। ইতিমধ্যেই এই বছর এই ক্লাবের থিম খবরের শিরোনামে এসেছে। এবার উত্তরবঙ্গের সব থেকে বড় দুর্গা প্রতিমা পিপলা রামকৃষ্ণ ফ্যান ক্লাবে। আর এবার তাদের এই মানবিক উদ্যোগ জিতে নিল মানুষের মন। মা দুর্গার কাছে সকল সন্তানই সমান। নেই কোন ধর্ম বা বর্ণের ভেদাভেদ। সেই সম্প্রীতির বার্তাও দিলেন সম্পাদক বুলবুল খান। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নিদর্শন এই প্রথম নয়। সারা বছরই সুখে দুঃখে শাসকদলের এই নেতাকে দেখা যায় এলাকাবাসীর পাশে থাকতে।
রামকৃষ্ণ ফ্যান ক্লাবের সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের পাশে থাকার জন্যই। আমরা গরীব দুঃস্থদের মধ্যে শাড়ি বিতরণ করলাম। অন্যান্য মন্ডপ থেকেও করব। আমরা সারা বছর হরিশ্চন্দ্রপুরে সবাই মিলে মিশে থাকি। সেরকম ভাবে দুর্গাপূজো সবাই মিলে করছি। আমাদের এবারের ষাট ফিটের দুর্গা প্রতিমা। আশা করছি মানুষের মধ্যে খুব ভালো সাড়া ফেলবে। স্থানীয় বাসিন্দা বীণা দাস বলেন, খুব ভালো লাগছে নতুন শাড়ি পড়ে দুর্গা প্রতিমা দেখতে আসবো। বুলবুল মাস্টারমশাই দিলেন। উনি সারা বছর সব সময় আমাদের পাশে থাকেন।
প্রসঙ্গত যে সময় রাজনীতিতে নেতাদের বিরুদ্ধে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে সেই সময় বুলবুল খান সত্যিই এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। যিনি মহামারী থেকে বন্যা থেকে শুরু করে পুজো মানুষের দরকারে সব সময় পাশে দাঁড়ান। তাই এলাকাবাসীর কাছে রাজনৈতিক মতভেদের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি হয়ে উঠেছেন জননেতা।