শীতের সকালে এক মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকলো জলপাইগুড়ি। বৃদ্ধ বাবাকে পাশে নিয়ে মৃত মায়ের দেহ কাঁধে করে মাঝ রাস্তা দিয়ে হেটে চলেছেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার সকালে এই দৃশ্য দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা দীর্ঘদিন ধরে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এদিন সকালে তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি থেকে হাসপাতালে দূরত্ব প্রায় 50 কিলোমিটার। এই পরিস্থিতিতে সমবায় গাড়ি ৩০০০ টাকা দাবি করে মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে। কিন্তু সেই টাকা দিনমজুর ছেলে দিতে না পারায় বাধ্য হয়ে মায়ের দেহ কাঁধে করে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মৃতার ছেলের রামপ্রসাদ দেওয়ান বলেন, "৯০০ টাকায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম মাকে। কিন্তু এখন অ্যাম্বুলেন্স ৩ হাজার টাকা চাইলো। বারোশো টাকা দিতে চাইলে ওরা রাজি হয়নি। দেহ ঘাড়ে করেই বাড়ি নিয়ে যাব। হাসপাতালে বলেছিলাম কিন্তু ওদের কোন ব্যবস্থা নেই"।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়েই গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসে তাদের সাহায্য করতে। এরপর বিনামূল্যেই মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসা হয় এই সংগঠনের সহায়তায়। সংগঠনের সম্পাদক অংকুর দাস জানান, "কাজের সূত্রে প্রায় হাসপাতালে আসা হয়। এদিন দেখলাম একজন সন্তান তার মায়ের দেহ কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছে। খুব অমানবিক ঘটনা ঘটে গেল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এই ক্ষেত্রে সরকার পরিষেবা দেবে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স কেন পাওয়া গেল না তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার"।