কথা ছিল দু`লক্ষ টাকার বদলে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পাবেন। সেইমত টাকাও দিয়েছিলেন এক দালালকে। কিন্তু চাকরি হয়নি। এই ঘটনায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই চাকরিপ্রার্থী। এদিকে ওই চাকরিপ্রার্থীর দেহ বাড়ির লোক কবর দিয়ে দিলেও পরবর্তীতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে সেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় কবর থেকে তুলে।
এসএসসি গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা আব্দুর রহমান। এরপর এক দালালের সঙ্গে তার আলাপ হয়। ওই দালাল যুবককে বলেন পরীক্ষা না দিয়েও সে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাবে। তবে তার জন্য দিতে হবে ৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু অত টাকা না থাকায় শেষমেষ রফা হয় ২ লক্ষ টাকায়। এদিকে সময় পেরিয়ে গেলেও চাকরি হয়নি আব্দুরের।
এই ঘটনায় ধীরে ধীরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে শুরু করেন আব্দুর। একদিকে বেকারত্ব অন্যদিকে এতগুলো টাকা জলে যাওয়ায় ক্রমে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে শুরু করেন আব্দুর রহমান। এরপর মঙ্গলবার ঘর থেকে উদ্ধার হয় আব্দুরের মৃতদেহ। এমনকি পাশে ছিল নয় পাতার সুসাইড নোট। প্রথমে গোটা ঘটনায় পুলিশে কোনরকম অভিযোগ জানাননি পরিবারের সদস্যরা। এমনকি আব্দুরের দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর পুলিশের খবর দেওয়া হলে গোটা বিষয়টা জানাজানি হয়। বৃহস্পতিবার লালবাগের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় কবর থেকে দেহটি তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে। সেই মতোই এদিন শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিওগ্রাফি করে ময়নাতদন্তের জন্য আব্দুরের দেহ পাঠায় লালগোলা থানার পুলিশ। অন্যদিকে মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রাহসান শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে লালগোলা থানার পুলিশ। ওই ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।