আজ থেকে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় পর্যায়ের ইন্টারভিউ। ২৫০ এর বেশি আবেদনকারী কে এদিন ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, এদিন সকাল দশটা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। কলকাতায় কেন্দ্রীয় ভাবে হচ্ছে ইন্টারভিউ। সমগ্র ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। কোনভাবে যাতে কোন রকম অনিয়ম না হয় সে বিষয়ে তৎপর রয়েছে পর্ষদ কর্তৃপক্ষ।
শুধু অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বরই নয়, বিভিন্ন ডকুমেন্টেশন ভেরিফিকেশনের জন্য যে নম্বর বরাদ্দ থাকে সেই নম্বরও অনলাইনে পর্ষদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে নম্বর কারচুপি সম্ভাবনা কার্যত থাকবে না বলেই পর্ষদের আধিকারিকদের মত। গোটা প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ভাবে করার জন্য এই উদ্যোগগুলি নেওয়া হয়েছে বলে পর্ষদের আধিকারিকদের দাবি।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ঠেকাতে আরো তৎপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নিজেদের ভাবমূর্তিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নজির বিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিবৃতি জারি করে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে এবার থেকে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউতেও করা হবে ক্যামেরা। ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এবং অ্যাপটিটিউড টেস্টও হবে ক্যামেরাবন্দী।
এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ইন্টারভিউ হবে এবার কলকাতাতেই। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া এতদিন জেলার বিদ্যালয় বা প্রাথমিক শিক্ষক সংসদের অফিস গুলিতে নেওয়া হতো। কিন্তু এবার থেকে কলকাতাতেই একাধিক টেবিল করে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। মূলত ডিপিএসসি অফিসগুলোতে ইন্টারভিউ নেওয়ার কারণে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, এর আগেও হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। মূলত যাতে নিয়োগ নিয়ে কোনো রকম অস্বচ্ছতার অভিযোগ না উঠে সেই কারণেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াকে ক্যামেরা বন্দি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের ধরে ধরে ভিডিওগ্রাফি করা হবে। একাডেমিক কোয়ালিফিকেশনের ক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীদের যে সমস্ত উন্নতি পেশ করা হবে সেগুলির ভিডিওগ্রাফি করা হবে। এক্ষেত্রে পরবর্তীকালে কোনরকম অভিযোগ উঠলে তার যথাযথ প্রামাণ্য নথি পর্ষদের কাছে থাকবে বলেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।