বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক তথা সিপিএম নেতার নাম বিধায়ক চন্দ্র দাস। দিনের পর দিন তাঁর বিরুদ্ধে ১৩ বছরের এক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ তোলেন ছাত্রীর পরিবার। তাঁর বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। যদিও সেদিনের পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক।
জানা গিয়েছে, গত পৌরসভা নির্বাচনে এলাকার সিপিএম প্রার্থী হয়ে লড়াই করেছিলেন বিধায়ক চন্দ্র দাস। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকনগরের বাসিন্দা অভিযুক্ত শিক্ষক বহু ছাত্রছাত্রীকে বাড়িতে পড়াতেন। বাকিদের মতো অঙ্কের প্রশিক্ষণ নিতে ওই শিক্ষকের বাড়িতে যেত ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিলন পল্লীর বাসিন্দা নির্যাতিতা ছাত্রী। কিন্তু শিক্ষকের হাতেই যে মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতিত হতে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা।
নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই শিক্ষকের বাড়িতে আর পড়তে যেতে চাইত না নবম শ্রেণীর ছাত্রী। কিন্তু পরিবারের তরফ থেকে রীতিমত জোর করে তাকে পড়তে পাঠানো হত। কিন্তু বিগত এক সপ্তাহ ধরে সে কোনওভাবেই শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যেতে চায়নি। প্রথমাবস্থায় কিছু না বললেও পরে পরিবারের সদস্যদের চাপে মুখ খোলে কিশোরী। গোটা ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে রীতিমত অবাক হয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।
খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই তা এলাকার সকলের কাছে পৌঁছে যায়। এরপর বুধবারই নিউ জলপাইগুড়ি থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে এলাকার বাসিন্দারা শিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হন। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত শিক্ষক।
নির্যাতিতার বাবা-মা জানান চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দিনের পর দিন এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে থাকেন ওই গৃহশিক্ষক। ছাত্রীর বাবা তথা ওই এলাকার তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, বিধায়ক চন্দ্র দাসকে সকলেই ভীষণ সম্মান করতেন। কিন্তু তিনি যে এরকম কোনও ঘটনা ঘটাতে পারেন তা সকলের ধারণার বাইরে ছিল। অন্যদিকে অভিযুক্তর পরিবারের দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে তাঁদের ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।