সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী পড়ুয়াদের শারীরিক এবং মানসিক কোনোভাবেই আঘাত করা যাবে না। কিন্তু সেই নিয়ম মানছে কে। একাধিক গৃহশিক্ষক থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেদের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন শিশুদের ওপর। তেমনি ঘটনা ঘটলো জলপাইগুড়ির ভগৎ সিং কলোনি এলাকায়। সামান্য বানান ভুল করার অপরাধে চার বছরের শিশুকে মেরে হাঁটু ভেঙ্গে দিলেন গৃহ শিক্ষিকা। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। পাড়ার এক গৃহ শিক্ষিকার কাছে পড়তো ওই এলাকার বাসিন্দা চার বছরের এক শিশু। শুক্রবার বাড়ি সে জানায় তার পায়ে ব্যথা। ব্যথার কারণ জিজ্ঞেস করতেই মাকে শিশু বলে বানান ভুল করায় দিদিমনির লাঠি দিয়ে মেরেছেন। এরপর ব্যথা এতটাই বাড়ে যে শনিবার তাকে এক্সরে করাতে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। রিপোর্টে দেখা যায় শিশুটির হাটু ভেঙে গিয়েছে।
এরপরেই ওই গৃহ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিশুর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, শিশুটির পরিবার ওই গৃহ শিক্ষিকার কাছে গিয়ে জানতে চান কেন মারধর করা হয়েছে। এদিকে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন শিক্ষিকা। এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শিশুর মা জানিয়েছেন, বাড়ির পাশেই তিনি ওই শিক্ষিকার কাছে পড়তে পাঠিয়েছিলেন তার বাচ্চাকে। এর আগেও তার শিশুকে মারধোর করেছেন ওই শিক্ষিকা তবে এতটা বাড়াবাড়ি কখনো করেননি। কিন্তু এখন যেভাবে মেরেছে তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। জানা গিয়েছে শিশুর যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করবেন ওই অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষিকা।
- TAGS
- গৃহশিক্ষক
- জলপাইগুড়ি
- হাসপাতাল