বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে যখন এই ঘটনা জন্য শুভেন্দু অধিকারী কে জেরা করার দাবি জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ, ঠিক তখনই পাল্টা তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের লোকজন উৎসাহিত বোধ করছেন, তাদের বোঝা উচিত লালন শেখের পাহারার দায়িত্বে মমতার পুলিশ ছিল। তাই কাচের ঘরে বসে ঢিল না ছোড়াই ভাল।’’একইসঙ্গে এই মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তৃণমূলের দিকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী আরো বলেন, " এখনও পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সময় সিবিআই আধিকারিকরা আদালতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সিবিআই-কে শুধু দোষ দিলে চলবে না। লালন শেখকে পাহারার দায়িত্বে ছিল রাজ্য পুলিশও। এখানে যদি কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে, তাহলে রাজ্য পুলিশের দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের ক্ষেত্রেও একই রকমভাবে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ প্রযোজ্য। নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।’’
এদিকে কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, "শুভেন্দু অধিকারী কি ১২ ডিসেম্বর লালনের মৃত্যুর কথাই বলার চেষ্টা করেছিলেন? কাকতালীয় ভাবে আজই সেই ১২ ডিসেম্বর। এই দিনের ইঙ্গিতই কি দিয়েছিলেন শুভেন্দু? অবিলম্বে বগটুইকাণ্ডের তদন্তের আওতায় আনতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।"
ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ লালন শেখ কে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গ্রেফতার করে সিবিআই। ঝাড়খণ্ডের পাকুরের একটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে রামপুরহাটের বাইরে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে তাকে রাখা হয়। আর পারে গতকাল সোমবার বিকেল নাগাদ রামপুরহাটের সিবিআইয়ের সেই ক্যাম্প থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লালন শেখের।