বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বর্তমানে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছে বড় দুর্নীতির। হাইকোর্টে চলছে একাধিক মামলাও। এই আবহে বড় ঘোষণা করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাজ্য সরকারের বর্ষপূর্তিতে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের কথা জানালো এসএসসি।
দীর্ঘ ৭ বছর বাদে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে ঘোষণা অনুযায়ী। জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই মর্মেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এসএসসি। কবে বেরোবে বিজ্ঞাপন তা বিস্তারিত আকারে জানালো এসএসসি। তবে, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকার পাশাপাশি নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকাও নিয়োগ করা হবে বলেই খবর। নোটিশে জানানো হয়েছে, নিয়োগের জন্য আবেদন কীভাবে, কবে তা জমা দিতে হবে, কীভাবে লিখিত পরীক্ষা হবে, কাউন্সিলিং কীভাবে হবে তার সবটাই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া থাকবে। পুজোর আগেই এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এমনটাই জানা গিয়েছে এসএসসি সূত্রে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক-প্রধান শিক্ষিকা। এমনই রিপোর্ট সম্প্রতি দিয়েছে খোদ স্কুল শিক্ষা দফতর। রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের অনেক শুন্যপদ তৈরি হয়েছে। এর জেরেই বিপুল সংখ্যক পদ ফাঁকা রয়েছে।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, সম্প্রতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের থেকে প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে কত সংখ্যক শূন্যপদ রয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর হতবাক স্কুল শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, রাজ্যের মোট ৯৯৯০-এর বেশি স্কুলের মধ্যে প্রায় ২১৩০ সংখ্যক স্কুলে প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগ হয়নি বলেই এই বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল। তবে, তা মানতে রাজি নয় শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর তৈরি হওয়া মনোভাব পরিবর্তনের জন্যই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে কত সংখ্যক শূন্যপদ রয়েছে, তার তালিকা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিকবার পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন বলেও জানা গিয়েছে।
সূত্রের এও খবর, এই প্রথম রোস্টার মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে। অর্থাৎ এতদিন যে নিয়ম মেনে প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা নিয়োগ করা হত, সেই নিয়মের পরিবর্তন করা হচ্ছে। ক্যাটাগরি ভিত্তিক প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের নিয়োগ হবে বলেই স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এ সংক্রান্ত আইন সামগ্রিকভাবে সংশোধনের জন্য স্কুল সার্ভিস ক্মিশনের পক্ষ থেকেও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে।