কারণ ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য, মেয়ের বিয়ের পরদিনই শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খুন জামাই!
বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন গতকাল, অর্থাৎ সোমবার। আর পরের দিন অর্থাৎ আজ শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন জামাই। কিন্তু সেখানে গিয়েই প্রাণ খোয়াতে হল। মানে মৃত্যু হয়েছে নববধূর বাবার। মৃত ব্যক্তির নাম তৈমুর মোল্লা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারুইপুরে।
সোমবার মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন হেলেঞ্চার বাসিন্দা তৈমুর মোল্লা। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন শাশুড়ি। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরবেলায় বারুইপুরের নবগ্রাম পঞ্চায়েতের নবগ্রাম এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে আসেন শাশুড়িকে পৌঁছে দিতে। অভিযোগ, সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁর শ্যালকরা।
তৈমুর মোল্লার শ্যালকরা তাঁর উপরে লোহার রড, ইট নিয়ে চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে, এমনই অভিযোগ তৈমুর মোল্লার পরিবারের। এরপর শ্যালকদের মারে গুরুতর জখম হন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শ্যালক-সহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু কেন তৈমুর মোল্লাকে এভাবে মারধর করা হল, অর্থাৎ এই খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের দাদা মান্নান মোল্লা জানিয়েছে, ‘শাশুড়ির ডাকে সেখানে গিয়েছিলেন তৈমুর মোল্ল। শ্যালক এবং শ্যালকের ছেলে-মেয়েরা তাঁকে মারধর করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। আমরা গিয়ে দেখি উনি মারা গেছেন। পুলিশকে জানাই। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতালে যাই। কী কারণে খুন করা হল, এখনও স্পষ্টভাবে মারা জানি না। এই ঘটনার ন্যায্য বিচার হোক অপরাধীদের ফাঁসি হোক।’