1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

‘জয়প্রকাশ এখন তৃণমূলে’? লাথি মেরে কচুবনে ফেলে দেওয়া তারিকুলের প্রশ্ন

আত্রেয়ী সেন

মার্চ ৯, ২০২২, ০৪:২৯ পিএম

‘জয়প্রকাশ এখন তৃণমূলে’? লাথি মেরে কচুবনে ফেলে দেওয়া তারিকুলের প্রশ্ন

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সদ্যই বিজেপি থেকে বহিষ্কারের পর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। গতকালই তিনি বিজেপি নেতা থেকে তৃণমূল নেতা হয়েছেন। জোড়াফুলে যোগ দিয়েই পেয়েছেন বড় দায়িত্ব। এই মুহূর্তে তিনি তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি।

এদিকে, এবার এই জয়প্রকাশের তৃণমূলে যোগদানের খবর শুনে রীতিমতো হতবাক তৃণমূল কর্মী তারিকুল ইসলাম। যেন আকাশ থেকে পড়লেন। এই তারিকুলের লাথির চোটেই কচুবনে ছিটকে পড়েছিলেন তৎকালীন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। গতকাল তাঁরই দলবদলের খবরে স্তম্ভিত তারিকুল ইসলাম। এই তারিকুলের লাথি খেয়েই নদিয়ার থানারপাড়ায় রাস্তার ধারে এক কচুবনে বপ্রে গিয়েছিলেন জয়প্রকাশ। সেই সময়টা ছিল ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর। সেদিনের সেই ঘটনার স্মৃতি আজও বাংলার মানুষের মনে বেশ টাটকা। ২০১৯-এর সেই দিনের পর ২০২২-এর ৮ মার্চ। মাঝে বেশ অনেকটা সময়ই পার হয়েছে। অনেক কিছুই হয়েছে। তৃতীয়বার ২১-এর নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী তারিকুল ইসলাম। 

অনেক কিছু বদলালেও, আজও তারিকুল সেদিনের কথা ভুলতে পারেননি। সেদিন যাকে রাগের বশে মেরেছিলেন, আজ তিনিই তারিকুলের নেতা। ২০১৯-এর সেই ঘটনার সময় বাংলার দাপুতে বিজেপি নেতা ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেদিন নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেদিন ঝামেলার মাঝে রাগে জয়প্রকাশকে লাথি মেরেছিলেন তারিকুল। তার জেরেই পাশের কচুবনে ছিটকে পড়েছিলেন জয়প্রকাশ। বরাবরই গ্র্যাজুয়েট জয়প্রকাশ রগচটা বলেই পরিচিত। সেই তারিকুল বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, জয়প্রকাশ এখন তৃণমূলে, তাঁর নেতা। যাঁকে সেদিন লাথি মেরে কচুবনে ফেললেন, সেই তিনিই এখন একই দলে এবং তাঁর উচ্চপদস্থ নেতা, এটা মানতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় তারিকুল জানিয়েছেন, ‘উনি এখন আমাদের দলে? তাই নাকি!’ তবে, ক্ষণিকের সেই ঘটনার কথা মনে পরলে আজও নাকি লজ্জা পান তারিকুল। তাই জয়প্রকাশ তৃণমূলে শুনেই বিষয়টা বেশ কৌশলে সামলে নিয়ে বলেছেন, ‘তাঁর সঙ্গে কোনওদিন দেখা হলে তাঁকে অনুরোধ জানাব, যাতে এই সব ঘটনা তিনি আর মনে না রাখেন।’

এদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদারের দলবদল নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে বিজেপি। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের পর, কেন্দ্র, রাজ্য উভয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। পাশাপাশি দলের ভুলত্রুটি বোঝাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তুলনা করেন। বিধাননগর পুরভোটের পর সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এরপর ১০৮ পুরসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরও দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। সম্প্রতি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তবে, এখানেই শেষ নয়, উত্তর দেওয়ার আগেই তাঁদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার খবর চাউর হতেই তাঁকে পুরোপুরি দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরেই তিনি গতকাল তৃণমূলে যোগ দেন। 

 

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন