বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যা। সরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯। আজ সকালে মারা গেলেন গুরুতর জখম নাজেমা বিবি নামে বগটুই কাণ্ডে আক্রান্ত এক মহিলা। বয়স ৪০ বছর।
২১ তারিখ রাতে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর, সেই রাতেই বগটুই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতা আনারুল শেখের নির্দেশে। অভিযোগ এমনটাই। সেই রাতে শেখলাল শেখের বাড়িতেও হামলা চলে। বোমাবাজি হয়, ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন্র। এমনটাই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনায় নাজেমার শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছিল। এরপর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বগটুই গ্রামে যাওয়ার পর, জখম নাজেমা বিবিকে হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছিলেন। নাজেমার খরচ বাবদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে ১ লক্ষ টাকা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, রবিবারই নাজেমা বিবির ব্যান রেকর্ড করেন সিবিআই- এর তদন্তকারী দল। তাঁদের কাছে তিনি সে রাতে তাঁর উপর অত্যাচারের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও তাঁকে বাঁচানো গেল না।
আজও সিবিআই-এর তদন্তকারীরা নিজেদের কাজ করছেন। এদিকে জানা গিয়েছে, রবিবার বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। আনারুল হোসেনকে ধৃত আজাদ চৌধুরীর মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ সোমবারও তাঁকে জেরা করা হবে বলেই সূত্রের খবর। গতকাল সিবিআই-এর ডিআইজি অখিলেশ সিং-এর নেতৃত্বে দীর্ঘ প্রায় ৮ ঘণ্টা আনারুলকে জেরা করা হয়। উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর তৃণমূলের কর্মী আজাদ চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কী কথা হয়েছিল? কাদের বগটুই হত্যাকাণ্ডের জন্য কাজে লাগানো হয়েছিল? সে ব্যাপারেই ধৃত আনারুল এবং আজাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় বলেই খবর। এর পাশাপাশি ঘটনার পর, পুলিশ কখন গ্রামে পৌঁছেছিল? সিবিআই-এর পক্ষ থেকে তাও জানতে চাওয়া হয়।
সিবিআই সূত্রের খবর, জেরার পরে, তৃণমূল ব্লক সভাপতি ধৃত আনারুলের দাবি, ‘আমাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনোভাবে যুক্ত নই। বাড়িতে ছিলাম। ঘটনার পর খবর পাই।’