নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহঃ প্রসূতির ম্রিত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল মালদহের চাঁচলে। এদিন সকালে এক প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি এতোটাই অস্থির হয়ে ওঠে যে, ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চাঁচল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। যদিও যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই চিকিৎসক বিশ্বজিৎ রায়কে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও, কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তিনি।
এদিকে, হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মৃত প্রসূতির নাম উমা ঘোষ, বয়স ২২ বছর। মৃতার বাড়ি চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের নদাপাড়া গ্রামে। মৃতার স্বামী পেশায় কৃষক রঞ্জিত মণ্ডল, জানিয়েছেন, স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা উঠলে তাঁকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। বুধবার বিকেলে স্বাভাবিকভাবে তিনি প্রসব করেন।
অভিযোগ, প্রসবের পরেও, রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। নার্সদের ডাকতে গেলে, কেউ আসেনি। শেষপর্যন্ত নার্সদের পা ধরে আবেদন করেও কিছু হয়নি। সেই সময় চিকিৎসক বিশ্বজিৎ রায়েরও দেখা মেলেনি বলেই অভিযোগ। প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও, হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনও চিকিৎসা হয়নি বলেই অভিযোগ। উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে রেফার করার কথা কেউ বলেনি।
চিকিৎসক, নার্সদের গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে প্রসূতি উমা ঘোষের। এমনটাই দাবি করেছেন মৃতার স্বামী। এদিকে, সদ্যোজাত শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ভবন ও স্থানীয় চাঁচল থানাতেও অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার কুমারেশ ঘোষ জানিয়েছেন, কোনোরকম রক্তক্ষরণ হয়নি। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণেই মারা গিয়েছেণ ওই প্রসূতি। এমনটাই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
- TAGS
- pregnant women
- died
- malda
- chanchol