অবশেষে পুলিশের জালে পান্ডে ব্রাদার্স। তবে এই রাজ্যে নয় ভিন রাজ্য থেকে তল্লাশি চালিয়ে হাওড়ার ব্যবসায়ী শৈলেশ পান্ডে ও তাঁর দুইভাই সহ আরো এক জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই তিন ব্যবসায়ীকে ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পান্ডে ব্রাদার্সের এক সহযোগী গা ঢাকা দিয়েছিলেন গুজরাটে, তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়।
হাওড়ার শিবপুরের ব্যবসায়ী শৈলেশ পান্ডের বাড়ি এবং গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণে নগদ। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছিল সোনা, রূপো, হীরের বহু মূল্যের গয়না। এরপরেই এই শৈলেশ পান্ডে ও তার দুই ভাইয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার দিন থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
এরপর পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন শৈলেশ, রোহিত এবং অরবিন্দ এই তিন ভাই সোজা ভুবনেশ্বর চলে যান। তারপর সেখানে শৈলেশের শ্যালকের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এদিকে পুলিশ তখন খোঁজ চালাচ্ছে অভিযুক্ত গাড়ি ও গাড়ির মালিকদের।
এরমধ্যেই তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন ভুবনেশ্বরে শৈলেশের শ্যালকের বাড়ি রয়েছে। শুরু হয় খোঁজ খবর নেওয়া। ওড়িশা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযান চালান গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, কুরিয়ার সার্ভিসের নাম করে শৈলেশের শ্যালকের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডেলিভারি বয় সেজে ওড়িশায় শৈলেশের শ্যালকের বাড়ির দরজায় কড়া নারেন তদন্তকারীরা। এরপর দরজা খুললেই বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়েন গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় শৈলেশ ও তার দুই ভাইকে। ইতিমধ্যেই সেই গাড়িটিরও খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
পান্ডে ব্রাদার্সের আরো এক সহযোগী প্রসেনজিৎ, সে গা ঢাকা দিয়েছিল গুজরাটের আমেদাবাদে। লালবাজারের আরও একটি গোয়েন্দা শাখা অভিযান চালিয়ে গুজরাট থেকে গ্রেফতার করেছে প্রসেনজিৎকে। ইতিমধ্যেই এই চারজনকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়।