দিন কয়েক আগেই কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে জল্পেশ মন্দিরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন পূর্ণার্থীরা৷ এবার সেই একই ঘটনার ছায়া বীরভূমের রামপুরহাটেও। জল্পেশের পর এবার রামপুরহাটেও পথ দুর্ঘটনার কবলে প্রাণ হারালেন ৯ জন। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে নিহত এবং আহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাটের কাছে স্থানীয় তেলডা গ্রামের কাছাকাছি ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। এদিন সকালে চাষের কাজ সেরে অটোতে চেপে বীরভূমের মল্লারপুর থেকে রামপুরহাটে ফিরছিলেন ৯ জন। তেলডা গ্রামের কাছে অটোটির সঙ্গে সামনাসামনি একটি সরকারি বাসে সজোরের ধাক্কা লাগে। আর এই সংঘর্ষের ফলেই অটো থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান যাত্রীরা৷ ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়৷
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, বাসটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে মল্লারপুর থেকে সিউড়ির দিকে যাচ্ছিল। যখন তেলডা গ্রামের কাছাকাছি তখন আচমকাই সামনে চলে আসে অটোটি। তখনই ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। অটোর চালক সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বাসটি সজোরে ধাক্কা মারে অটোটিকে। আর তখনই অটোর বেশিরভাগ যাত্রী ছিটকে পড়েন রাস্তায়। কিছুজন অটোর ভিতরেই পিষে যান। জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃত ৯ জনই ছিলেন রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের কাষ্ঠগোড়া পঞ্চায়েতের পারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে ঘটনার পরই শোকপ্রকাশ করে একটি ট্যুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চক্ষুগোচরে এনে আর্থিক সাহায্য প্রার্থনা করেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রীও সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেন। একইসঙ্গে নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পিক-আপ ভ্যানে চড়ে জল্পেশ মন্দিরে যাওয়ার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১০ জন। চ্যাংড়াবান্ধার কাছে ঘটে এই মারাত্মক দুর্ঘটনা। আহত ১৬ জনকে ভর্তি করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেই সময়ও নিহত পরিবার ও আহতদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের তরফেও নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০ লক্ষ টাকার চেক।