বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনই নয়, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার মামার হুগলির জাঙ্গিপাড়ার মথুয়াবাটিতেও যাতায়াত ছিল মন্ত্রীর। মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের প্রভাব খাটিয়ে সেখানকার সাধারণ মানুষকে ধমকিয়ে চমকিয়ে নিজের প্রতিপত্তি জাহিরও করতেন অর্পিতা। এমনটাও অভিযোগ উঠছে।
জানা গিয়েছে, অল্পদিনের মধ্যেই নাকি হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় প্রসাদোপম বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন অর্পিতার মামা। অর্পিতার গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই এখন ক্ষোভে উগরে দিচ্ছেন জাঙ্গিপাড়ার মথুয়াবাটির বাসিন্দারা। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রথমদিকে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে মামার বাড়িতে আসতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। মডেলিং- এর দুনিয়ায় পা রাখার পর একাই আসতেন। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার পর থেকে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই মামার বাড়িতে আসতেন অর্পিতা।
হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানা এলাকার দিলাকাশ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মথুয়াবাটির বাসিন্দাদের দাবি, পর্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরেও, মামাতো ভাইদের একের পর সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এই চাকরি পাওয়ার নেপথ্যেও নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ছিল। আর রাতারাতি তিনতলা বাড়িও উঠে যায় মামার। এখানেই শেষ নয়, সাধারণ মানুষের আরও অভিযোগ, রাস্তার সামান্য পানীয় জলের কল নিয়েও অহংকার জাহির করতেন অর্পিতা। ওই এলাকার মানুষ যে কলের উপর নির্ভরশীল, সেই কল তাঁর গাড়ি যাতায়াতের অসুবিধার জন্য তুলে দেন মডেল-অভিনেত্রী। অর্পিতার মামার বাড়ির এক প্রতিবেশীর দাবি, মডেল-অভিনেত্রী তথা পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা অত্যন্ত দাম্ভিক ছিলেন। ছোটবেলায় যাঁদের সঙ্গে মিশতেন, কথা বলতেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার পরে তাঁদের এড়িয়ে চলতেন অর্পিতা।
জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগেই মামার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি একতলা নতুন বাড়ি তৈরি করেছিলেন অর্পিতা। সেখানেই মাঝে-মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে আসতেন তিনি। এক প্রতিবেশীর দাবি, যখনই অর্পিতা এবং পার্থ আসতেন সেই সময় রাস্তা বন্ধ করে দিত পুলিশ। এর ফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধাও হত। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকত। কিছু বলার কোনও উপায় ছিল না।
তাছাড়া, প্রতি বছর অভিনেত্রীর মামা তপন চক্রবর্তীর বাড়ির দুর্গা পুজোতেও অর্পিতার সঙ্গে যেতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দিনভর সেখানেই কাটাতেন তিনি। এমনকি সেখানের পুকুরে মাছও নাকি ধরতেন মন্ত্রী। দাবি এলাকাবাসীর। এদিকে, অর্পিতা এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছেন অর্পিতার মামা বাড়ির লোকজন। বাড়ির দরজায় ঝুলছে তালা। তাই তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে, তাঁদের গ্রাম ছাড়ার পরই প্রশ্ন উঠছে, কী কারণে গ্রাম ছেড়ে পালালেন অর্পিতার মামা বাড়ির লোকজন?