মানুষের ভাগ্যে যে কী লেখা রয়েছে, তা কেউই বলতে পারে না। ভাগ্যের জোরেই হঠাৎই কোনও দরিদ্র ব্যক্তি কোটিপতি হয়ে উঠেন। অনেক সময় লটারির টিকিট বদলে দেয় মানুষের ভাগ্য! কখনও টিকিট কেটেও ভাগ্যে শিঁকে ছেড়ে না, হতে হত নিঃস্ব। আবার কখনও এই লটারিই সাধারণ মানুষকে বানিয়ে দেয় কোটিপতি। তেমনই ঘটল নদীয়ার আনারুল শেখের সঙ্গে।
লকডাউনের আগে তিন বছর দুবাইয়ে চাকরি করে ২৬ লক্ষ টাকা জমিয়েছিলেন। কিন্তু লটারির টিকিটের নেশায় সব হারিয়েছিলেন। বাড়ি-ভিটে, অটো বেচেও ধারদেনা মেটেনি। শেষ পর্যন্ত মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে মামাবাড়ির একচালার ঘরে উঠেছিলেন। ছোট একটি ঘরে এত মানুষের জায়গা হবে না বলে নিজে অন্য রাজ্যে চাকরি নিয়ে চলে যান। কিন্তু এই বছরের পুজোয় সেই লটারিই বদলে দিল আনারুলের ভাগ্য।
গত এক বছর ধরে লটারির নেশা ধরেছিল আনারুলের। একবার ৪৫ হাজার টাকা জেতার পর থেকেই নেশা বেড়ে যায়। কিন্তু টিকিট কেটে কেটে নিঃস্ব হয়ে যান তিনি। দুবাইয়ে চাকরি করে টাকা জমিয়েছিলেন ২৬ লাখ। আরও টাকা পাওয়ার লোভে টিকিট কাটতে থাকেন মাঝে মধ্যেই।
ক্রমশ বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করে টিকিট কাটতেন আনারুল। এই ভাবেই এক দিন নিঃস্ব হয়ে বাড়িঘর, অটো বিক্রি করে দিতে হয় তাঁকে। আর নবমীতে সেই পোড়া কপালে হঠাৎ আনন্দের আবির্ভাব। যে আশায় সব খুইয়িছিলেন, এই আশাই পূরণ হল। আজ আনারুল কোটিপতি হয়ে উঠলেন। নবমীতে সেই লটারিই তাকে বানাল কোটিপতি।
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে আনারুল জানান, "আমার তো বেশ লজ্জা লাগছে এই নিয়ে কথা বলতে। তবে হ্যাঁ এই টাকা দিয়ে অনেক কিছু করতে হবে আমায়। অনেক ধারদেনা মেটানোর আছে। গরিব ঘরের ছেলে আমি। বাড়ি করব, যেখানে পরিবারের সবাই থাকতে পারবে। হয়তো অটোও কিনব। তার আগে বন্ধুদের ধার মেটাব। আর কিছু স্বপ্ন নেই আমার।"