বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ হাওড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। কাজ চলাকালীন একটি প্লাস্টিকের কারখানায় আগুন লাগে বলে খবর। আগুনের লেলিহান শিখায় ভষ্মিভূত গোটা কারখানা। কালো ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ঠিক কী থেকে অগ্নিসংযোগ তা জানা যায়নি। তবে গোটা কারখানা পুড়ে যাওয়ায় সব মিলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন মালিকপক্ষ। ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন। ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার ৪, স্কুল রোডের ওই প্লাস্টিকের কারখানায় আগুন লাগে। ওই কারখানায় মূলত প্লাস্টিকের চেয়ার তৈরি হত। অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও কাজ চলছিল। পুলিশ ও দমকলের প্রাথমিক অনুমান, বিদ্যুতের কাজ চলাকালীন আচমকাই সেখান থেকে অগ্নিসংযোগ ঘটে। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। ঘন্টাখানেকের প্রচেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কারখানায় ঠিক কী থেকে আগুন লাগল তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এই প্রসঙ্গে ভষ্মিভূত ওই প্লাস্টিক কারখানার মালিক রবিকান্ত ছাপড়িয়ার ধারণা, পাশেরই একটি কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পরে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগে তা সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়ে যায়। সামগ্রিকভাবে প্রভূত ক্ষতি হলেও সময় মত আগুন লাগার ঘটনা চোখে পড়ায় কারখানা থেকে তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসেন শ্রমিকরা। তাই অগ্নিকাণ্ডের জেরে কারুর প্রাণহানি হয়নি।
অন্যদিকে দমকল বাহিনীর কর্মীরা জানিয়েছেন, দোকানে উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিলনা। তাই গোটা কারখানায় সহজেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি আগুন লাগার কারণ প্রসঙ্গে গোলাবাড়ি থানার ওসি জানান, যেহেতু কারখানাটিতে প্লাস্টিকের জিনিস তৈরি হত তাই স্বাভাবিকভাবে দাহ্য পদার্থের জোগানও খুব বেশি ছিল। সেখান থেকেই আগুন লাগে এবং তা রাতারাতি ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত গত ২০ মে ভোর রাতে অগ্নিকাণ্ডের জেরে আতঙ্ক ছড়ায় শহরে। চাঁদনি চক লাগোয়া একটি কাপড়ের দোকানে আগুন লাগে। এরপর সেখান থেকেই আশেপাশের দোকানগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। বেশ কয়েকটি দোকান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দমকলের ৫ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সেক্ষেত্রেও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।