বীরভূমের রামপুরহাটে বাস এবং অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে জেরে মৃত ৯ শ্রমিক। ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর তরফে আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। এবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। পাশাপাশি নিহতদের পরিবার পিছু দু`লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণাও করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের শেষকৃত্যও হবে সরকারি খরচেই।
এদিন ট্যুইট করে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, সমব্যথী প্রকল্পের (Somyabothi Scheme) আওতায় দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারপিছু দু`লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। পাশাপাশি শেষকৃত্যের জন্যও দু`হাজার টাকা করে অনুদান দেবে সরকার। এছাড়াও বিশেষ অনুদানও মিলবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরই শোকপ্রকাশ করে একটি ট্যুইট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনায় নিহত এবং আহতদের জন্য আর্থিক সাহায্যও প্রার্থনা করেন তিনি। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেন। একইসঙ্গে নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আসলে এদিন কীভাবে ঘটল সেই দুর্ঘটনা? স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাটের কাছে স্থানীয় মেটেলডাঙা গ্রামের কাছাকাছি ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। এদিন সকালে চাষের কাজ সেরে অটোতে চেপে বীরভূমের মল্লারপুর থেকে রামপুরহাটে ফিরছিলেন ৯ জন। মেটেলডাঙার কাছে অটোটির সঙ্গে সামনাসামনি একটি সরকারি বাসে সজোরের ধাক্কা লাগে। আর এই সংঘর্ষের ফলেই অটো থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান যাত্রীরা৷ ঘটনাস্থলেই মহিলা সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়৷
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, বাসটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে মল্লারপুর থেকে সিউড়ির দিকে যাচ্ছিল। মেটেলডাঙা গ্রামের কাছাকাছি আচমকাই সামনে চলে আসে অটোটি। তখনই ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। অটোর চালক সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বাসটি সজোরে ধাক্কা মারে অটোটিকে। আর তখনই অটোর বেশিরভাগ যাত্রী ছিটকে পড়েন রাস্তায়। কিছুজন অটোর ভিতরেই পিষে যান। জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃত ৯ শ্রমিকই ছিলেন রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের কাষ্ঠগোড়া পঞ্চায়েতের পারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।