নিজস্ব প্রতিবেদন, মালদহঃ ভোররাতে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিপত্তি। বিস্ফোরণে মৃত্যু হল ২ জনের, আহত একাধিক। আহতরা প্রত্যেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণের জেরে ওই দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচক থানার গোপালপুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোররাতে বোমা তৈরির কাজ চলছিল। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বোমার বাঁধার সময় কোনোভাবে বিস্ফোরণ ঘটে। এর জেরেই মৃত্যু হয় দুজনের। আহত একাধিক। আহতদের সঙ্গে ওই দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকা থমেথমে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গোপালপুরের চন্ডিপুর মাঠ এলাকায় রাতের অন্ধকারে চলছিল বোমা বাধার কাজ। তখনই তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে এলাকা। এই ঘটনায় যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের নাম যথাক্রমে ফারজান আলী, সফিকুল ইসলাম। উভয়েরই বাড়ি গোপালপুর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গভীর রাতে লোকালয় থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পাট ক্ষেতে ঘটনাটি ঘটে। এই বিস্ফোরণে আহত প্রত্যেকেই জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে এও খবর যে, এলাকায় দুষ্কৃতীমূলক কাজের উদ্দেশ্যেই বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। সেই সময়ই কোনোভাবে অসাবধনতাবশত বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
কোথা থেকে বোমা বাঁধার সরঞ্জাম এল, পরিমাণে কতটা ছিল, দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য কী ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি এই ঘটনায় স্থানীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনার সময় আর কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এদিনের এই বিস্ফোরণে ফের রাজ্য়ের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠছে। সকলের নজর এড়িয়ে, কীভাবে একদল দুষ্কৃতীর খোলা জায়গায় বোমা বাঁধার সরঞ্জাম নিয়ে ঢুকল? বিস্ফোরণ না হলে, বিষয়টি আদৌ প্রকাশ হত কি? এসব প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রাই। অন্যদিকে, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।