মাঝে আর একদিন, তারপর থেকেই শুরু হতে চলেছে খাতায়-কলমে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩ জন। আগেরবারের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী প্রায় ৫০ হাজার বেশি। করোনা আবহ কাটিয়ে এই বছর যে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে তা আগে থেকে বোঝা যায়নি। অবশেষে সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় বসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর প্রস্তুতি। রাজ্যজুড়ে ১ হাজার ৪৩৫ টি প্রধান কেন্দ্র ও ২ হাজার ৭৫৯ টি উপকেন্দ্রে হবে পরীক্ষা।
প্রতিবারের মত নিয়ম মেনে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েই পরীক্ষা দিতে হবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। তার আগে শুক্রবার লালবাজারের রাজ্য পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পরীক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি জানান সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে। প্রশ্নপত্র পড়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা সময় পাবে ১৫ মিনিট। মূল লেখা পরীক্ষা শুরু হবে বেলা ১২ টা থেকে এবং তা চলবে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত।
কোভিডকালে সাবধানতা অবলম্বনের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু বিধির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে পড়ুয়াদের। মুখে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা অবশ্যই বাধ্যতামূলক। যে সমস্ত কেন্দ্রে ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। ইতিমধ্যেই ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই পর্ষদের কন্ট্রোলরুমগুলি কাজ করা শুরু করেছে। এমনটাই জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।
গত বছরে এই সময়ে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। রাজ্যজুড়ে তখনও লকডাউনের আবহ। কিন্তু পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা করানোর ওপরেই জোর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মাধ্যমিক হোক বা উচ্চমাধ্যমিক, হোম সেন্টারেই নিতে হবে পরীক্ষা। ৩ ঘণ্টার পরিবর্তে পরীক্ষা হবে দেড় ঘন্টার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। করোনা আবহে বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়েছিল মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তবে এই বছর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। প্রয়োজনীয় কোভিডবিধি মেনে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েই হবে মাধ্যমিক।