বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মণিপুর ধসে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ওই ভয়ঙ্কর ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ তে। বৃহস্পতিবার মণিপুরের নোনে জেলায় ধস নামে। জানা গিয়েছে, এখনও যাঁদের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯ জনই দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। ওই মর্মান্তিক ঘটনায় শোক প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর শনিবার পাহাড়ে ফিরছে শহিদ জওয়ানদের দেহ।
শুক্রবারই এই বিষয়ে টুইটে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘মণিপুরের ধসে মৃতদের মধ্যে দার্জিলিং হিলসের (১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মি ইউনিট) নয় জওয়ান রয়েছেন জেনে আমি স্তম্ভিত। তাঁদের মৃত্যুতে শোকাহত। ওঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। তাঁদের পাশে রয়েছি।’
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার টুপুল ইয়ার্ড রেলওয়ে নির্মাণস্থলের কাছে ১০৭ টেরিটোরিয়াল সেনা ছাউনিতে ধস নামে আচমকাই। ছাউনির সকলেই তখন ঘুমাচ্ছিলেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭ সেনা-সহ ৫৫ জনের খোঁজ মেলেনি বলেই খবর। নিখজদের মধ্যে এক ১৮ মাসের শিশুও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা, অসম রাইফেলস, টেরিটোরিয়াল আর্মির পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। সেই সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ থেকে দেহ খুঁজে বার করার জন্য উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুরও।
এদিকে, জানা গিয়েছে, মণিপুর ধসে পাহাড়ের মৃত জওয়ানদের মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং ও সংলগ্ন এলাকার ৯ জওয়ান। ওই ধসে মৃত্যু হয়েছে মালবাজারের নাগরাকাটার জওয়ান শঙ্কর ছেত্রীরও। বছর ৩০ এর এই জওয়ানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া তাঁর বাড়ি ও এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জওয়ান শংকর ছেত্রী মণিপুরের নোনে জেলায় রেলের একটি নির্মীয়মান প্রকল্পে অন্যান্যদের সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। আচমকা পাহাড় থেকে বিশাল ধস আছড়ে পড়ে তাঁদের উপর। অন্যান্যদের সঙ্গে তিনিও সেই ধসের তলায় চাপা পড়ে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, মারাত্মক জখম হয়েছিলেন তিনি। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।
এদিকে, এই বিপর্যয়ের পর, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ শোকপ্রকাশ করার পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে, আশা করা যাচ্ছে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে নিখোঁজদের উদ্দেশ্যে তল্লাশি শেষ করা যাবে।