নন্দীগ্রাম দিবস পালন নিয়ে জারি রাজনৈতিক তরজা। প্রতিবছর ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূলে থাকাকালীন এই দিনটি পালন নিয়ে কোনরকম সমস্যা ছিল না। কিন্তু বিজেপিতে তিনি যোগ দেওয়ার পর থেকেই কে আগে শহীদ বেদীতে মালা দেবে তাই নিয়ে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। সেই ধারা অব্যাহত রইল এবারেও।
নন্দীগ্রামে শহীদ বেদীতে মালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ এদিন শুভেন্দু অধিকারী কে তোপ দেগে বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীর শহিদ বেদীতে মাল্যদান করার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। কারণ যাঁরা আন্দোলন করেছিলেন, তাঁরা সবাই এই মঞ্চে রয়েছেন। যাঁরা আগে গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁরা এখন শুভেন্দু অধিকারীর পিছনে ঘুরে বিজেপি করেন।’ কুণালের আরও দাবি, শুভেন্দু রাজনৈতিক স্বার্থ নন্দীগ্রামকে ব্যবহার করেছেন। তৃণমূল নেতা বলেন, ‘শহিদের রক্ত নিজের কেরিয়ারের জন্য ব্যবহার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।"
তবে থেমে থাকার পাত্র নয় বিজেপিও। এদিন মঞ্চ থেকে এই নাম না করে কুনাল ঘোষকে পাল্টা নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন বলেন, "যাঁদের দেখছেন তাঁরা হালি নেতা। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্কই নেই"।
যখন নন্দীগ্রাম আন্দোলন হয়েছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সেনাপতি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন তারা। কিন্তু আজ দুজন সম্পূর্ণ বিপরীত রাজনৈতিক দলে বিরাজ করছেন। আর তাতেই চলছে দড়ি টানাটানি। যদিও পর্যবেক্ষকদের মতে এদিনের এই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ারই ছিল।