৮ মাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এমনকি রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার জেরে এখন তোলপাড় মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থানার তুলসীহাট্টা গ্ৰামের বৈজনাথপুর এলাকা। প্রাণ বাঁচাতে এখন নিজের বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে স্ত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ বছর আগে বৈজনাথপুর এলাকার লালবাণূর সঙ্গে বিয়ে হয় একই গ্ৰামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সহেরের। মেয়ের মা মাজেদা বিবির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর অত্যাচার, মারধর শুরু করে মোহাম্মদ। গত কয়েক মাসে তা চরমে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে লালবানু। বর্তমানে সে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে এরপরও মারধর থামেনি।
অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে যখন লালবানূ বিবি ঘুমিয়ে ছিলেন সেই সময় তাঁকে মারতে যান স্বামী। কোনওক্রমে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন তিনি। পরেরদিন সম্পূর্ণ ঘটনা জানিয়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা স্ত্রী। তবে অভিযোগ দায়ের হতেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা।
পুলিশের কাছে লালবানূ জানিয়েছেন, তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে, এক ছেলে ও এক মেয়ে। কিন্তু স্বামী কোনও কাজ করেন না। শুধুই স্ত্রীর বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। এই নিয়েই শুরু অত্যাচার। লালবানূর অভিযোগ, এদিন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে খুন করতে এসেছিলেন স্বামী। এমনকি তিনি প্রাণ বাঁচিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেলেও প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলেন। ফলে বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন লালবানূ।
এদিকে অভিযোগ দায়ের হতেই পলাতক লালবানূর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। ঘটনা প্রসঙ্গে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযুক্তরা কেউই বাড়িতে নেই। ওদের খোঁজ চলছে।