বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার সিমলা গ্রাম। গৃহবধূ খুনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত স্বামীকে ব্যাপক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। পরে উত্তেজিত গ্রামবাসীর হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম সুখী বিবি (১৯)। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুখী বিবিকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী মোতালেব আলীর (২২) বিরুদ্ধে। এরপরই তাঁর ওপর চড়াও হয় গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় মোতালেবকে। তবে সুখী বিবির শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরা পলাতক বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা সুখী বিবির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পার্শ্ববর্তী গ্রাম সিমলার বাসিন্দা মোতালেব। তিনি ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, বিয়ের পর থেকেই সুখী এবং মোতালেবের মধ্যে প্রায় রোজই অশান্তি লেগে থাকত। এমনকি মোতালেব নেশাখোর এবং অন্য নারীতে আসক্ত ছিলেন। আর এই নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যাবতীয় অশান্তির সূত্রপাত।
অন্যদিকে সুখীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে ফোন করে সুখী জানান যে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। এরপর বুধবার সকালে জানা যায়, তাঁকে মৃত অবস্থায় বাড়ির বিছানায় পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও তাঁর গায়ে আঘাতের একাধিক চিহ্ন এবং গলায় শ্বাসরোধ করার চিহ্নও মিলেছে বলে খবর।
এদিন সকালে সুখী বিবির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সিমলা গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা মোতালেবের বাড়িতে হামলা চালান। মোতালেবকে বাড়ির বাইরে নিয়ে এসে চলে ব্যাপক মারধর। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় হরিশচন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীর হাত থেকে অভিযুক্ত মোতালেবকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুখী বিবির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুখীর পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত স্বামী সহ তার বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে মোতালেবকে গ্রেফতার করা গেলেও তাঁর বাবা-মা সহ বাকি অভিযুক্তরা পলাতক।