বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। কিন্তু তারপর আর বাড়ি ফিরে আসেননি। আচমকাই নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি। ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে তিন দিন। গৃহবধূর খোঁজ না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নিখোঁজ গৃহবধূর নাম মুরমিলা বিবি। ২৮ বছর বয়সী ওই মহিলা নদীয়া জেলার নবদ্বীপের পার্শ্ববর্তী পূর্বস্থলীর দু`নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মাজিদা গ্রামের বাসিন্দা। গত ১ মে, রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ঈদের বাজার করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। ৮ ও ১০ বছরের দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখেই তিনি বেরিয়ে যান। কিন্তু এরপর সারারাত কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেন না মুরমিলা বিবি।
নিখোঁজ হওয়ার পর গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি এবং বাপের বাড়ির সদস্যরা আশেপাশের গ্রাম সহ বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। তারপরও মুরমিলার খোঁজ না মেলায় সোমবার সকালে পূর্বস্থলী থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা। জানা যায়, নিখোঁজ মহিলার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি একই পাড়ায়। তাই মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ায় পূর্বস্থলী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় বাপের বাড়ির পরিবারের পক্ষ থেকে।
এরপরই গৃহবধূর খোঁজে তদন্ত শুরু করে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। তবে তিন দিন কেটে গেলেও এখনও মুরমিলা বিবির কোনও খোঁজ মেলেনি। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় মুরমিলার পরনে ছিল হলুদ রঙের শাড়ি, কালো ব্লাউস ও একটি নীল ওড়না। তাঁর গায়ের রং শ্যামবর্ণ বলেই জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মুরমিলা বিবির কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল না। তাহলে কী কারণে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গেলেন তিনি? সবটাই এখন ধোঁয়াশা। পুলিশ নিজেদের মতো করে তল্লাশি চালাচ্ছে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন গৃহবধূর মা ও বাবা। সংবাদমাধ্যম ও প্রশাসনের কাছে তাঁরা করজোড়ে নিবেদন করে বলেছেন, “আমরা যেন আমাদের মেয়েকে খুব তাড়াতাড়ি খুঁজে পাই”। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে দুই পরিবারে।