বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসছে। কখন ধর্ষণ, পণের দাবিতে খুন হয়েই চলেছে। তবে এটা যে শুধু এ রাজ্যেই হচ্ছে তাই নয়, গোটা দেশের প্রতিটি রাজ্যে এই ছবি। সমাজব্যবস্থা আধুনিকতার শীর্ষে পৌঁছালেও, এখনও এধরনের ঘটনা ঘটে প্রায়শই। তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী হল কোচবিহার জেলা।
গৃহবধূকে হত্যা করে, তাঁর বাপের বাড়ির অগোচরেই দেহ সৎকার করার অভিযোগ উঠল মেখলিগঞ্জে। গৃহবধূকে খুন করে, প্রমাণ লোপাটের জন্যই তাঁর বাড়ির লোকেদের অজান্তেই বধূর মৃতদেহ সৎকার করার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এমনকি এও অভিযোগ উঠছে যে, ঘটনার তিনদিন পর গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকেরা মেয়ের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের মারফৎ জানতে পারেন ঘটনা।
এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনার অভিযোগ উঠছে মেখলিগঞ্জ ব্লকের শৌলমারীর অন্তর্গত ১৮২ সারোহাটি এলাকায়। জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে মেখলিগঞ্জ ব্লকের ১৬৫ উপনচৌকি এলাকার বাসিন্দা অন্ন বর্মণের কন্যা সুকন্যা বর্মণের সঙ্গে বিয়ে হয় ১৮২ সারোহাটি এলাকার বাসিন্দা সুদীপ বর্মণের। এই দম্পতির এক পুত্র সন্তানও আছে।
কিন্তু অন্ন বর্মণ অভিযোগ করেছেন, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর মেয়ের উপর মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করা হত। তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন যে, ১০ মে সুকন্যা বর্মণকে গলা টিপে হত্যা করে তাঁর স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ি। এর তিনদিন পর মেয়ের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের থেকে সুকন্যার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তিনি।
এদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মেখলিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মৃতার স্বামীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।