1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

সহবাসের পর ‘বেপাত্তা’! উত্তরপ্রদেশ থেকে এরাজ্যে এসে প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ধর্নায় বসলেন যুবতী

আত্রেয়ী সেন | তনুজ জৈন

অক্টোবর ১২, ২০২২, ০৩:৪৬ পিএম

সহবাসের পর ‘বেপাত্তা’! উত্তরপ্রদেশ থেকে এরাজ্যে এসে প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ধর্নায় বসলেন যুবতী

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহঃ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলেও, এখন বিয়েতে আপত্তি এবং বেপাত্তা। তাই বাধ্য হয়েই উত্তরপ্রদেশ থেকে এরাজ্যে এসে সোজা প্রেমিকের বাড়ির দরজার সামনে ধর্নায় বসলেন যুবতী। এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাড়ি থেকেও পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত প্রেমিক। বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামে।

সকাল থেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। সকাল থেকেই যোগী রাজ্য থেকে আসা ওই যুবতী ধর্নায় বসেছেন বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ওই যুবতীর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বিজনোর জেলার বিচপরী মান্ডিয়া এলাকায়। তবে, ওই যুবতীর নানার বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামে। গত তিন বছর আগে এখানে নানার বাড়িতে ঘুরতে এসে একই গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত প্রেমিক শেখ মজিফুলের ছেলে ইব্রাহিম আলির সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এখানেই শেষ নয়, জানা গিয়েছে, উভয়ের সম্মতিতেই তাঁরা সহবাসে মিলিতও হয়েছিলেন। কিন্তু ওই যুবতীর অভিযোগ, এতকিছুর পরেও বিয়ে করতে রাজি নয় প্রেমিক। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির দরজার সামনেই ধর্নায় বসেছেন প্রেমিকা।

ওই যুবতী জানিয়েছেন যে, ইব্রাহিমের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ ৩ বছরের সম্পর্ক। এতদিন সব ঠিকই চলছিল। এমনকি দিল্লির এক হোটেল এক সঙ্গে ১৫ দিন রাতও কাটিয়েছেন তাঁরা। একাধিকবার দুজনে শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়েছেন বলে জানান ওই যুবতী। কিন্তু সম্প্রতি ছন্দপতন হয়। যুবতীর দাবি, অভিযুক্ত প্রেমিক ইব্রাহিম কয়েক দফায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে এবং তা সে নিজের বাড়িতে পাঠিয়েছে। এদিকে, বিয়ের কথা বললেই নানা কারণে এড়িয়ে যেত ইব্রাহিম।

সম্প্রতি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে নিয়ে পালিয়ে যায় দিল্লিতে ইব্রাহিম। সেখানে এক হোটেলে ১৫ দিন রাত কাটানোর পর সেখান থেকে আজমের শরীফেও নিয়ে যায়। তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর মতো আচরণ করতো ইব্রাহীম। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর যুবতিকে একা রেখে, পালিয়ে বাড়ি চলে আসে অভিযুক্ত যুবক ইব্রাহিম। কিন্তু এখন বেঁকে বসেছে সে। বিয়ে করতেও অস্বীকার করছে। যুবতীর আরও দাবি, তাঁরা দুজনে একসাথে নববধূর সাজসজ্জা কিনেছেন এবং তাঁর বক্তব্যের একাধিক প্রমাণ রয়েছে। যুবতীর দাবি, এই প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে ছেলের পরিবার সবকিছুই জানেন। কিন্তু এখন সবাই অস্বীকার করছেন। এদিকে, অভিযুক্ত প্রেমিক ইব্রাহিমের মা হেনা বিবি জানিয়েছেন যে, ছেলের এই প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে কিছুই জানেন না তাঁরা। ছেলে বাড়িতে আসেনি। সে কোথায় আছে, তাও তাঁরা কিছুই জানেন না। 

 

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন