গরু পাচার মামলায় নিজেদের তদন্তে যে গতি আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তা প্রতিমুহূর্তে প্রমাণিত হচ্ছে তাদের পদক্ষেপে। বুধবার ফের একবার ইডির দিল্লির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজিব ভট্টাচার্যকে। এই নিয়ে পঞ্চম বার তাকে তলব করা হলো ইডির তরফে।
ইডি সূত্রে খবর, এই রাজিব ভট্টাচার্য একাধিক চালকলের মালিক। এছাড়াও যখন অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন তখন তার চিকিৎসার জন্য ৬৬লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন এই রাজিব ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যেই রাজিব ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এবার ফের একবার তাকে ইডির দিল্লির দপ্তরে তলব করা হলো।
এর আগে শনিবার রাজিব ভট্টাচার্য কে আধঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেদিন সন্ধে সাতটা নাগাদ দিল্লির দপ্তর থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। যদিও বেরোনোর সময় তার মুখে প্রসন্ন ভাব প্রকাশ পেয়েছে। জেলা পর্ব ভালই হয়েছে বলে বুঝিয়েছিলেন ইঙ্গিতে। এরপর গত সোমবারেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা।
কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করেননি রাজিব ভট্টাচার্য। বরং তার কথায় একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। গত শনিবারের আগের বৃহস্পতিবার ও তাকে জেরা করা হয়েছিল। তখনও তার উত্তরে অসঙ্গতি মিলেছিল।
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আরো এক ব্যবসায়ী মনিশ কোঠারিকেও তলব করা হয়েছে ইডির তরফে। কাছ থেকেও বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। চাটার্ড একাউন্টেন্ট মণীশ কোঠারির কাছ থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এখন রাজীব ভট্টাচার্যের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য এবং মনিশ কোঠারির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য দুটোই মিলিয়ে দেখতে চান তদন্তকারী অফিসাররা।