ডি এল এড এর প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়ে যে কোন মূল্যেই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। তাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে স্পট মূল্যায়ন হবে d.el.ed এর পরীক্ষার সমস্ত উত্তর পত্রের। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি উত্তর পত্রের মূল্যায়ন যাতে যথাযথ নিয়মে হয় তাও নিশ্চিত করছে পর্ষদ।
এ প্রসঙ্গে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, স্বচ্ছতা আনার জন্য ডি এল এড এর উত্তর পত্রের স্পট মূল্যায়ন হবে। একই ছাতার তলায় কেন্দ্রীয়ভাবে পর্ষদের নেতৃত্বে যাবতীয় উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করা হবে। এর ফল প্রকাশ করা হবে যতদ্রুত সম্ভব। এর জন্য খুব শীঘ্রই একটি নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী প্রকাশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কিভাবে ডিএলএড এর প্রশ্ন ফাঁস হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও এই নিয়ে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রেখেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রকে উত্তরপত্র এবং সকল পরীক্ষা সংক্রান্ত নথি সিল করা ট্রাঙ্কে এবং পুলিশ পাহাড়ায় সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরে পৌঁছে দিতে হবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দপ্তর থেকে যত দ্রুত সম্ভব তা সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দপ্তরে পৌঁছে দেওয়া হবে। উত্তরপত্রগুলি পেয়ে গেলেই কেন্দ্রীয়ভাবে স্পট মূল্যায়নের ব্যবস্থা করবে পর্ষদ।
এদিকে সোমবার d.el.ed এর পরীক্ষার সোয়া এক ঘন্টার মধ্যে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল প্রশ্নপত্র। এই নিয়ে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। এবার এই বিষয়ে সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিল নবান্ন। ইতিমধ্যেই দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার d.el.ed এর পরীক্ষা ছিল। অভিযোগ ওঠে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১ ঘন্টা ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে প্রশ্নপত্র। এরপরেই প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি গৌতম পাল দাবি করেন, এই কাণ্ডের পিছনে কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে। এবার এই বিষয়েই আদৌ কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তার পর্দা ফাঁস করতে সিআইডির উপর তদন্তভার দিল নবান্ন।
গতকাল পরীক্ষার পর পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। যারা প্রশ্ন তৈরি করছে গোপনীয়তা তাদেরও দায়িত্ব। এটা প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়ক, পর্ষদের-সরকারের সম্মানহানির চেষ্টা। আদৌ সত্যি সম্মানহানের চেষ্টায় এই কাজ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে করল কিনা সে বিষয়ে এবার জানতে চাই রাজ্য সরকার। তাই তদন্তভার তুলে দেওয়া হল সিআইডি-র হাতে।
D.el.ed কলেজ গুলিতে ভর্তির করানোর জন্য বিপুল পরিমাণে টাকা নেওয়া হতো বলে অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এরপর তদন্তি নেমে d.el.ed কলেজে বেনিয়মের হদিসও পেয়েছিলেন তদন্তকারী সংস্থা। এরপর ফের প্রশ্নপত্রভাসের অভিযোগ উঠল। তাই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তড়িঘড়ি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল নবান্ন।