বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কবে কোথায় আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। তবে, এবার বাংলার জন্য স্বস্তির খবর, ঘূর্ণিঝড়ের মুখ ঘুরে দিয়েছে বাংলাদেশের দিকে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং যাচ্ছে বাংলাদেশেই। এবার বড় আপডেট দিল মৌসম ভবন।
মৌসম ভবন জানাল, ‘বাংলাদেশ উপকূলবর্তী এলাকায় আছড় পড়তে পারে সাইক্লোন সিত্রাং।’ এর ফলে বাংলা জুড়ে দুর্যোগের আশঙ্কা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ২৫ তারিখ সিত্রাং বাংলাদেশ উপকূলের তিনকোনা দ্বীপ এবং সন্দ্বীপের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। কিন্তু এর প্রভাবে কালীপুজোর দিন অর্থাৎ ২৪ তারিখ উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুরেও ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। অন্যদিকে, ২৫ তারিখ বৃষ্টি অল্প কমতে পারে। দুই ২৪ পরগনা, নদিয়াতে মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি দুই মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ২৪ তারিখ কালীপুজোর দিন উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে এবং কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার ২৫ তারিখ ঝড়ের গতিবেগ আরও বাড়বে বলেই জানা গিয়েছে।
২৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুই ২৪ পরগণায় ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার, সর্বাধিক ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এছাড়াও হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
এদিকে, দুর্যোগের কারণে মৎস্যজীবীদের ২৩ থেকে ২৫ তারিখ সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফেরি সার্ভিস এবং ওয়াটার রাইডের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে নবান্নর তরফে। শুক্রবারই নবান্নে জরুরি বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সব দফতরের সচিব এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাশাসকরা।
জানা গিয়েছে, ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্ন্ত যোগাযোগ রাখবেন নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা। পাশাপাশি, কালীপুজোর প্যান্ডেলগুলির ভিত যাতে মজবুত হয়, সেই জন্য অতিরিক্ত নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছিল জেলা প্রশাসনকে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করে চালানো হচ্ছিল সচেতনতা প্রচার।