আজ থেকেই খুলে গেল রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের দরজা। করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত মাস থেকেই স্কুলে শুরু হয়েছিল অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পঠনপাঠন। এবার অবশেষে খুলে গেল প্রাথমিক থেকে সপ্তম ও প্রাক-প্রাথমিক স্কুলগুলিও। আজ থেকেই স্কুলে শুরু হয়ে গেল সকল শ্রেণীর পঠনপাঠন।
এদিকে স্কুল খুলতেই তো হবে না! স্কুলে যেতে লাগবে ইউনিফর্ম ও জুতো। এদিকে গত প্রায় দু`বছর স্কুল বন্ধ থাকায় ছোট হয়ে গিয়েছে ইউনিফর্ম-জুতো। ফলে স্বল্প সময়ে স্কুল খোলার সরকারি নির্দেশে জামা জুতোর দোকানগুলোয় যেন পুজোর সময়ের ভীড় ফিরে এসেছে। নতুন ইউনিফর্ম, জুতো কেনার হিড়িক লেগেছে দোকানগুলোতে।
গতকাল জুতোর দোকানে নিমেষের মধ্যেই নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছিল স্কুলের জুতো কেডস। দোকানিরা জানান, লকডাউনের কারণে বন্ধ ছিল কল-কারখানা। অন্যদিকে তখন ক্রেতাদের তেমন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু এখন সেই ভীড় আবার ফিরে এসেছে। এদিকে এতদিন সরবরাহ কম থাকায় অনেককেই দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকেই খালি হাতে ফিরেছেন। অন্যদিকে, লাইন পড়েছে টেলারিং-এর দোকানেও। দোকানীরা জানাচ্ছেন, রেডিমেডের এর দাপটে এমনিতেই ব্যবসায় মন্দা চলছিল। তার উপর এতদিন লকডাউন থাকায় ব্যবসা বেশ মার খাচ্ছিল। এবার বিদ্যালয়গুলি ফের খোলার ফলে তারা বেশ খুশি। ইউনিফর্ম বানানোর জন্য রীতিমতো ভীড় বাড়ছে টেলারিং-এও।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তবে অনেকেই মনে করছেন অনেক আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিল। এখন হঠাৎ ঘোষণার ফলে, অনিশ্চিত বিদ্যালয় খোলার স্বপ্নভঙ্গ হওয়া জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় লাগবে বেশ কিছুদিন। দুশ্চিন্তা একটাই, ধারাবাহিকতা বজায় থাকার। তবে পড়ুয়ারা কিন্তু খুবই উৎসুক স্কুল জীবনে ফিরে যেতে পেরে। প্রয়োজনে জুতো-ইউনিফর্ম ছাড়াই যেন তারা স্কুলে ছুটে যায়। এতদিন শিক্ষালয়ে শৈশব উপভোগ করার আগেই করোনার তাণ্ডবে গৃহবন্দি হয়েছিল সকলে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনলাইন ক্লাস দিলেও, সহপাঠীদের সাথে মজা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্নেহ থেকে বঞ্চিত ছিল পড়ুয়ারা। এবার ফের সেই আগের মতো স্কুলের পরিবেশ ফিরে পাওয়া গেল। ফলে পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, সকলেই বেশ খুশি।