1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

মিলল না স্বস্তি! খারিজ অনুব্রতর জামিনের আবেদন, ১৪ দিনের জেল হেফাজত

আত্রেয়ী সেন

আগস্ট ২৪, ২০২২, ০৪:৪২ পিএম

মিলল না স্বস্তি! খারিজ অনুব্রতর জামিনের আবেদন, ১৪ দিনের জেল হেফাজত

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মিলল না স্বস্তি। খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত আগামী ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল। পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৭ সেপ্টেম্বর। এর আগেও দু’বার অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। অনুব্রত মণ্ডলকে প্রভাবশালী বলেই মনে করছে সিবিআই। এই যুক্তির বলেই আজ বাতিল হয়ে গেল বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন।

এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে, তাঁর বর্তমানে যে চিকিৎসা চলছে, তা যেন বজায় থাকে, সেটাও নিশ্চিত করতে বলছে আদালত। তাই এখন তিনি আসানসোলের কোনও জেলে থাকবেন, নাকি কোনও হাসপাতালে তাঁকে পাঠানো হবে, সেটা এখনও ঠিক হয়নি।

গরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজত শেষে আজ তাঁকে ফের আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। স্বাভাবিকভাবেইএদিন অনুব্রত মণ্ডলের জামিন চেয়ে আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। এদিন অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, ‘অনুব্রতর যে সম্পত্তি রয়েছে, তা সবই সরকারের ঘরে নথিভুক্ত। এর জন্য তিনি ট্যাক্সও দিয়েছেন। ওইসব সম্পত্তির খোঁজ-খবর করতে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। তার জন্য অন্য দফতর রয়েছে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে পুরোপুরি রাজনৈতিক কারণে।’

এদিকে, অনুব্রত মণ্ডল একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। বুধবার আসানসোল CBI আদালতে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তাঁদের তরফে আদালতে দাবি করা হয়, ‘এটা একটা চেন বিজনেস। কেউ একজন জড়িত নন, অনেকেই জড়িত। অনেক ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে এই দুর্নীতিতে। বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে।’

সিবিআই-এর দাবি, এই দুর্নীতিতে পরিবহণের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। এদিন আদালতে সিবিআই জানায়, ‘গরু পাচারের ক্ষেত্রে আমরা অনেকের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেছি। যেখানে মূল নাম উঠে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের। বিএসএফ-এর ভূমিকাও আমরা তদন্ত করছি। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এখানেই শেষ নয়, সিবিআই-এর দাবি, অনেক সরকারি কর্মীর ভূমিকা সম্পর্কে জেনেছে সিবিআই। হাট থেকে গরু নিয়ে যাওয়া হত। সেখান থেকেই পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হত। এটা একটা বড় চেন বিজনেস। সিবিআই- এর দাবি, এই সবকিছুর পিছনে মাস্টারমাইন্ড এনামুল হক। এটাকে ন্যাশনাল ক্রাইম বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী এদিন দাবি করেছেন, ‘সিবিআই এখনও তেমন কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি। শুধু সন্দেহের বশে হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই, অনুব্রতকে নিশানা করে তদন্ত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। অনুব্রত একটা দল করে বলে তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে, পশুহাট থেকে গরু কিনে সীমান্ত পার করা হলে আমার মক্কেলের ভূমিকা কোথায়?’

অনুব্রতর আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘রাজ্যে ক্ষমতায় নেই কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল। তাই এসব করা হচ্ছে। গরু পাচারের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগসাজশের কোনও প্রমাণ মেলেনি। বিদেশে গরু পাচার হলে, তার জন্য বিএসএফ রয়েছে। আদালতে জানানোর আগে সিবিআই মিডিয়াকে সবকিছু জানিয়ে দিচ্ছে। সিবিআইয়ের ভূমিকা এতে স্পষ্ট। গরু দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। ভারত থেকে বাংলাদেশে গেলে তা বেআইনি। গরু পাচার চক্রে জড়িত নন অনুব্রত মণ্ডল। এফআইআর-এ তাঁর নামও নেই। বলা হয়েছে দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে গরু চলাচল ও পরিবহনে কোনও বাধা নেই। তাহলে এনিয়ে অনুব্রত কীভাবে দায়ী হতে পারেন।

সূত্রের খবর, আপাতত অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেলে রাখা হতে পারে। কারণ অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে গরু পাচার মামলায় সিবিআই যে এফআইআর করা হয়েছিল, তা ছিল বোলপুর-আসানসোল সাবডিভিশনে। এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যেসব তথ্য প্রমাণ মিলেছে, তার ভিত্তিতে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়ে সিবিআই আদালতে একটি আবেদনও পেশ করেছে। 

 

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন