বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। বেশকিছু সময় পর, অতি সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-র নিচে নামলেও, ফের বাড়ে আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও এখনও হাজারের নিচেই রয়েছে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবারের পর গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়ল।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৮ জন। গতকালের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বেড়েছে। যদিও এখনও আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের অনেকটাই নিচে রয়েছে। গতকাল রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১৯ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ২১ লক্ষ ১ হাজার ৭৫ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনার পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ৫.০২ শতাংশে।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টাতে করোনায় রাজ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রাজ্যে করোনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ৪১৪ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৮০২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন মোট ২০ লক্ষ ৭৩ হাজার ২২৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৬৭ শতাংশ।
এদিকে, রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বা অ্যাকটিভ কেস। যদিও গত কয়েকদিন ধরে তা নিম্নমুখী। যা যথেষ্ট স্বস্তির। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের কমল অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। এই মুহূর্তে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৬ হাজার ২১৭ জন। আর হাসপাতালে ভরতি ২২১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। রাজ্যে করোনার মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা গতকালের থেকে কমে হয়েছে ৬ হাজার ৪৩৮ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৬ হাজার ৬৪৬ জন। করোনার মোকাবিলায় জারি রয়েছে টিকাকরণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৮ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১১ হাজার ৯২৩ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এদিকে মুম্বই, কেরলা, দিল্লিতে যেভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের চিন্তায় রেখেছে।
এদিকে অনেক আগেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় রাজ্যে কোভিড নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নতুন করে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে ফের আগের মতো সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফের মাস্ক, স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের আরও সতর্ক হতে বলা হয়েছে নতুন সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজকর্ম করতে হবে।