বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। বেশকিছু সময় পর, অতি সম্প্রতি করোনা অনেকটাই কমেছিল আক্রান্তের সংখ্যা। ২০০-র নিচে নামে আক্রান্তের সংখ্যা গতকালই। যদিও এখনও হাজারের নিচেই রয়েছে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবারের পর গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের অনেকটাই বাড়ল। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০-র বেশি।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৩ জন। গতকালের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বেড়েছে। যদিও আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-র অনেকটাই নিচে রয়েছে। গতকাল রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৫ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ২১ লক্ষ ৩ হাজার ৩২৫ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনার পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ৪.০৪ শতাংশে।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টাতে করোনায় রাজ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালও রাজ্যে করোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ৪২৭ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৬০৭ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন মোট ২০ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৭৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ।
এদিকে, রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বা অ্যাকটিভ কেস। যদিও গত কয়েকদিন ধরে তা নিম্নমুখী। যা যথেষ্ট স্বস্তির। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের কমল অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। এই মুহূর্তে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৪ হাজার ৪৩৪ জন। আর হাসপাতালে ভরতি ১৯০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। রাজ্যে করোনার মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা গতকালের থেকে কমে হয়েছে ৪ হাজার ৬২৪ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৪ হাজার ৮৪২ জন। করোনার মোকাবিলায় জারি রয়েছে টিকাকরণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৩৩ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৯ হাজার ৭২৩ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এদিকে মুম্বই, কেরলা, দিল্লিতে যেভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের চিন্তায় রেখেছে।
এদিকে অনেক আগেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় রাজ্যে কোভিড নির্দেশিকা জারি রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ফের আগের মতো সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফের মাস্ক, স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের আরও সতর্ক হতে বলা হয়েছে নতুন সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজকর্ম করতে হবে।