২০১৮ সালে নদীয়া জেলায় পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেই চিত্রর পুনরাবৃত্তি ঘটেনি ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে। সেই বছর লোকসভা ভোটে ১১ টি বিধানসভা আসনে পিছিয়েছিল তৃণমূল। এগিয়েছিল মাত্র ছটিতে। তাই ২০১৮- এর মতোই যাতে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল হয় সেই কারণে এবার নির্বাচনের আগে নদীয়ায় জেলা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কৃষ্ণনগরে গভর্মেন্ট কলেজের মাঠে রাজনৈতিক সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
তিনদিনের সফরে নদিয়ায় গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল নদীয়ায় গিয়ে এই কৃষ্ণনগরের রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়। ওই জেলায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে , সে বিষয়ে ও কৃষ্ণনগরের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কল্লোল খাঁর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
এদিকে এদিনের মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্য জনসভা নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে চরমে। এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দেন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। রাজনৈতিক দিক থেকে এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা নদীয়া। শেষ করে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যেভাবে এই জেলায় রাজনৈতিক চর্চা চলছে তাতে মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের রাজনৈতিক সভা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের সভা থেকে দলনেত্রী পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি রণনীতি ঠিক করে দেন সকলের নজর থাকবে সেইদিকে। এছাড়াও আজকের সভা জেলা নেতৃত্বকে নতুন দিশা দেখাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই সভার দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
কিছুদিন আগেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সাংসদ থেকে সরানো হয়েছে বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়কে।ফলে দুর্নীতি কাণ্ডে দল যে কড়া অবস্থান নেবে, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।এদিকে, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব, রানাঘাট দক্ষিণ, কৃষ্ণগঞ্জ আসনে ৪০% মতুয়া ভোট।মতুয়া প্রভাব আছে শান্তিপুর ও চাকদহ আসনেও।এই জেলার দুই বিধানসভা আসন কল্যাণী ও হরিণঘাটা যা বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত, ২০১৯ ও ২০২১ সালে ফল খারাপ হয় তৃণমূলের। এই জেলার রানাঘাট লোকসভা আসন হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে এই ঘটনার কোনো রকম পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং হারানো আসন যাতে ফিরে পাওয়া যায় সে বিষয়ে দিন তৃণমূল সুপ্রিমো কী বার্তা দেন সেটাই এখন দেখার।