অভিযোগ ছিল দ্বিতীয় স্ত্রী খুন করেছে স্বামীকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার কবর থেকে দেহ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হলো। এদিন এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভাটোল গাড়রা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের চার তারিখে মৃত্যু হয় হাসানের। ঘর থেকে উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ। কিন্তু ময়নাতদন্ত না করেই কবর দেওয়া হয় ওই ব্যক্তির দেহ। এরপরে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ছিল দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী তাকে খুন করেছিলেন। একে অভিযোগ ছিল ওই ব্যক্তির প্রথম পক্ষের স্ত্রীরও। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন ভিডিওর উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা হয় দেহ।
হাসনের প্রথম স্ত্রী আরবিনা বিবি অভিযোগ করেন, তাঁর সতিন আনা বিবি এবং পরিবারের অন্যান্য লোকেরা চক্রান্ত করে স্বামীকে হত্যা করেছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় এই নিয়ে আট জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আরবিনা বিবি। মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।এই দিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে গাড়রা গ্রামের কবরস্থান থেকে মাটি খুঁড়ে তোলা হয় হাসনের দেহ। সমগ্র প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জানা গিয়েছে তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী আর বিনা বিবিকে ১৪ তারিখ বাপের বাড়ি থেকে আনতে যাওয়ার কথা ছিল হাসানের। ৩ তারিখ তাদের শেষ কথা হয়। এরপরই ৪ তারিখ তিনি খবর পান হাসান আত্মহত্যা করেছে। এরপরে ৫ তারিখ শ্বশুর বাড়ি এসে তিনি দেখেন দেহ কবর দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
এরপরেই হাসানের দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। একই সঙ্গে আরো আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্তকারী দল।