বর্ধমান মেডিকেল কলেজের বড় সাফল্য! গলায় আটকে খেলনা, দু বছরের শিশুর প্রাণ বাঁচিয়ে নজির গড়লেন চিকিৎসকরা
খেলতে খেলতে গলায় আটকে গিয়েছিল প্লাস্টিকের খেলনা ব্যাঙের পা। আর তারপরেই যত বিপত্তি। ক্রমে অক্সিজেন লেভেল কমতে শুরু করেছিল দু বছরের শিশু পুত্রের। এরপরই তৈরি করি তার পরিবারের লোক কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে। অবশেষে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা শিশুটির প্রাণ বাঁচায়।
জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে খেলতে খেলতে গলায় প্লাস্টিকের খেলনার অংশ আটকে যায় শিশুটির। এরপরেই নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়ায় বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে সময় শিশুটির অক্সিজেন লেভেল নেমে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে। এই পরিস্থিতিতে কাটোয়া মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসকরা শিশুটিকে রেফার করে বর্তমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে শিশুটিকে দেখেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা খবর দেন ইএনটি বিভাগে।
এরপর ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকরা শিশুটির এন্ড্রোস্কপি করে দেখেন সেখানে ফরেন পার্টিক্যাল ঢুকে রয়েছে। এরপরই তড়িঘড়ি তৈরি করা হয় মেডিকেল বোর্ড। সেই রাতেই দ্রুত অপারেশন করা হয় শিশুটির। এদিকে ক্রমেই শিশুটির কমতে থাকে অক্সিজেনের মাত্রা। তাই বেশ খানিকটা ঝুঁকি নিয়েই দেড় ঘন্টা ধরে অপারেশন করার পর অবশেষে বার করা সম্ভব হয় প্লাস্টিকের খেলনাটিকে।
অস্ত্রপ্রচারের নেতৃত্বে থাকা চিকিৎসক ঋতম রায় জানান, "অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে অপারেশন শুরু করা হয়। দেড় ঘন্টা অপারেশনের পর গলায় আটকে থাকা প্লাস্টিকের খেলনা ব্যাঙের পা বের করা হয়। আপাতত শিশুটি সুস্থ রয়েছে। অক্সিজেন লেভেলও বেড়েছে। তাকে এখন শিশু বিভাগের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার আপাতত কোন প্রাণের ঝুঁকি নেই"।