বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রামপুরহাট বগটুইকাণ্ডে এবার নিহতের আত্মীয় মিহিলাল শেখকে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আজ অর্থাৎ সোমবার মিহিলাল শেখের হাজিরা দেওয়ার কথা। বগটুইকাণ্ড নিয়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করবেন সিবিআই-য়ের আধিকারিকরা।
এদিকে, রবিবার বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। আনারুল হোসেনকে ধৃত আজাদ চৌধুরীর মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ সোমবারও তাঁকে জেরা করা হবে বলেই সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে আজই মিহিলাল শেখকে তলব করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। উল্লেখ্য, বগটুই কাণ্ডে মিহিলালের মা, স্ত্রী, কন্যা ও জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছিল। এই মামলায় তিনি অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী।
এই মুহূর্তে নিহতের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখ এবং তাঁর ভাই বানিরুল-এর ঠিকানা বগটুই গ্রাম থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে সন্ধ্যাজল গ্রামে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে, রবিবারই ফোনে মিহিলালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় এবং রামপুরহাটে সোমবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তাঁর বয়ান রেকর্ড করবেন আধিকারিকরা।
কিন্তু এখনও আতঙ্কে রয়েছেন মিহিলাল শেখ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও, তিনি রামপুরহাটে যেতে চান না। তিনি আর্জিতে জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যেন সাঁইথিয়ার সন্ধ্যাজল গ্রামে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সূত্রের খবর, সাঁইথিয়া গেছে সিবিআইয়ের একটি দল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল সিবিআই-এর ডিআইজি অখিলেশ সিং-এর নেতৃত্বে দীর্ঘ প্রায় ৮ ঘণ্টা আনারুলকে জেরা করা হয়। উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর তৃণমূলের কর্মী আজাদ চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কী কথা হয়েছিল? কাদের বগটুই হত্যাকাণ্ডের জন্য কাজে লাগানো হয়েছিল? সে ব্যাপারেই ধৃত আনারুল এবং আজাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় বলেই খবর। এর পাশাপাশি ঘটনার পর পুলিশ কখন গ্রামে পৌঁছেছিল? সিবিআই-এর পক্ষ থেকে তাও জানতে চাওয়া হয়।
সিবিআই সূত্রের খবর, জেরার পরে, তৃণমূল ব্লক সভাপতি ধৃত আনারুলের দাবি, ‘আমাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনোভাবে যুক্ত নই। বাড়িতে ছিলাম। ঘটনার পর খবর পাই।’