বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রেম যে কোনও বাধা মানে না। প্রেমের ডাকে সাড়া না দিয়ে কি থাকা যায়? তাই তো প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে নিয়মনীতির বেড়াজাল ডিঙিয়ে বোরখা পরে সোজা চলে গেলেন প্রেমিকার হোস্টেলে। ইচ্ছে ছিল, একবার একবার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করবেন। প্রেমিকা থাকেন আবার গার্লস হোস্টেলে। তাই এই বোরখার বেশ ধারণ। ভেবেছিলেন ব্যাপারটা খুব সহজ হবে। ভেবেছিলেন কেউ ধরতেই পারবেন না। আর তিনিও অনায়াসেই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
পরিকল্পনাটা বেশ ভালোই করেছিলেন। শুধু পোশাক পালটালেই বুঝি কাজটা হয়ে যাবে বলে ভেবেছিলেন। করেওছিলেন তাই। পোশাকের উপর চাপিয়েছিলেন বোরখা। এতো কিছু পরেও কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
হোস্টেলে প্রবেশের আগেই পড়লেন ধরা। বা এটা বললেও অত্যুক্তি হবে না যে, তাঁর পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল তাঁর জুতোই। বোরখার নিচ থেকে উঁকি দিচ্ছিল পুরুষদের জুতো। এতেই সন্দেহ, আর সন্দেহ থেকেই ধরা পড়ে যান তিনি। এমনই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের একটি গার্লস হোস্টেলে।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম রঞ্জন জানা। রঞ্জন কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, বাড়ি মেদিনীপুরে। অপর্না দাস নামে এক যুবতীর সঙ্গে ফেসবুকে তাঁর পরিচয় হয়। জানা গিয়েছে, ওই যুবতী রঞ্জনকেই ডাকতেই, সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত্রি বেলায় সাড়ে ১০ টার ট্রেনে বহরমপুরে পাড়ি দেয় রঞ্জন। আজ ভোরে সোজা বোরখা পরে গোরাবাজার ভাগিরথী গার্লস হোস্টেলে যায় সে। কিন্তু তাঁর জুতো দেখে সন্দেহ হয় হোস্টেল হোস্টেল কর্তৃপক্ষ ও আবাসিকদের মধ্যে। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে আটকে ওকর্তৃপক্ষ। এরপরই আসল ঘটনা সামনে আসে।
এদিকে, সত্যি জানতে পেরে এলাকাবাসী চড়াও হয় ওই যুবকের উপর। জানা গিয়েছে, যুবককে মারধরও করা হয়েছে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দুজনকে বহরমপুর থানাতে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বহরমপুর শহরেই মেস বাড়ির সামনে প্রাক্তন প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছিলেন মালদার কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। সেই ঘটনার পর থেকেই এই শহরের মেসগুলিতে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। এরপরেও এই ঘটনায় ফের উত্তেজনা ছড়াল।