বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। টানা দশবার এই মামলায় তলব করা হয়েছিল বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’কে। যার মধ্যে মাত্র একবার তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। বাকি প্রত্যেকবারই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন। গত বৃহস্পতিবারই অনুব্রতকে বোলপুরের বাড়ি থেকে প্রথমে আটক করে সিবিআই। পরে তাঁকে অফিশিয়ালি গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই থেকেই নিজাম প্যালেসে সিবিআই হেফাজতে কেষ্ট। এবার সিবিআই-এর নজরে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা।
আজই বোলপুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেণ সিবিআই-এর আধিকারিকরা। তেমনটাই সূত্রের খবর। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সুকন্যার সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের মনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে। সামান্য স্কুল শিক্ষিকার এতো সম্পত্তি কীভাবে হল? এই প্রশ্নই তদন্তকারী আধিকারিকদের ভাবাচ্ছে। সিবিআই সূত্রের খবর, সুকন্যা মণ্ডলের নামে এখনও পর্যন্ত বোলপুরেই দশটি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই প্রতিটি সম্পত্তিই ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে। এই কারণেই সন্দেহ বেড়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের।
বীরভূমের এই দাপুটে নেতার স্ত্রী মারা গিয়েছেন। পরিবারে সদস্য বলতে অনুব্রত মণ্ডলের একমাত্র মেয়ে। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সুকন্যা বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতেই থাকেন। স্কুল বাড়ি থেকে একদম কাছেই। তিন বছর আগেই তিনি স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন। তবে, তাঁর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেতেই সতর্ক হয়েছে সিবিআই। এদিকে, জেরায় অসহযোগিতা করছেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনটাই সিবিআই সূত্রের খবর। এবার সুকন্যা মণ্ডলকে নোটিস দিয়ে জেরা করা হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সূত্রের খবর, বোলপুরের নীচুপট্টির এলাকায় সুকন্যার নামে ১০ টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর সুকন্যা। কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে তৈরি হয় সংস্থাটি। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, নীচুপট্টির এলাকায় ১০ টি জমি অনুব্রত-কন্যার নামে রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জমি কেনা হয়েছে ভোলে বোম রাইস মিলের নামে। সেই রাইস মিলের মালিক আবার অনুব্রত মণ্ডলের পরিবার। এর অন্যতম অংশীদার আবার সুকন্যা মণ্ডল।
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডল এই সম্পত্তির ব্যাপারে কিছু বলছেন না। এমনকি তাঁর কন্যা, আত্মীয় এবং দেহরক্ষী সায়গলের সম্পত্তি নিয়ে জেরা করা হলেও, তিনি কিছুই বলছেন না। সূত্রের খবর, মেয়ের সম্পত্তি নিয়ে কিছু না বলার জন্যই এবার সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকেই জেরা করতে চাইছেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সব ঠিক থাকলে, আজই বোলপুরের বাড়িতে গিয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জেরা করতে পারেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা।