1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করা আনারুল গ্রেফতার

আত্রেয়ী সেন

মার্চ ২৪, ২০২২, ০৪:৩০ পিএম

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করা আনারুল গ্রেফতার

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রামপুরহাটকাণ্ডে জল অনেকদূর গড়িয়েছে। বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অনেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কথামতো বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বগটুই কাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের কথা শোনেন। সেদিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, কারা ঘটিয়েছিল এই ঘটনা? সব অভিযোগ শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ওখানে দাঁড়িয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তৃণমূলের এক নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন নিহতদের পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, আনারুলের নির্দেশেই আগুন লাগানো হয়েছিল সেদিন। এবার সেই আনারুলকেই দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন মুখ্যমন্ত্রী কড়া হুশিয়ারের সুরে বলেন যে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কাউকেই রেয়াত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই গ্রেফতার হলেন আনারুল হোসেন। তারাপীঠের একটি হোটেলের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে, তাঁর অনুগামীদের দাবি, বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আনারুলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই, তৎপর হয় পুলিশ। আনারুলের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। 

এদিন বগটুই গ্রামে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আনারুল আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্ট। কিন্তু, ওঁরা তার কাছে অভিযোগ করেছিল। কেন তা সত্ত্বেও পুলিশ পাঠায়নি তা জানা দরকার। ওকে গ্রেফতার করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অবিলম্বে আনারুলকে গ্রেফতার করতে হবে। হয় আনারুল আত্মসমর্পণ করুক, কিংবা যেখান থেকে হোক ওকে গ্রেফতার করা হোক।’ 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখানকার যিনি এসডিপিও ছিলেন তিনি যখন দেখলেন একজনের মৃত্যু হয়েছে তখন কেন তিনি উপযুক্ত পদক্ষেপ করলেন না যাতে আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে! এই গ্রামে আগেও অনেক খুন-খারাপি হয়েছে। এসডিপিও তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি। আইসি-ও তাঁর দায়িত্ব পালন করেনি। সুতরাং যাঁরা যাঁরা দায়িত্ব পালন করেনি এবং ঘটনার প্রেক্ষিতে যাঁরা পুলিশকে ঠিকমতো কাজে লাগাননি আমি তাঁদের কঠোর শাস্তি চাই।’

অন্যদিকে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই আনারুল হোসেন ঠিক কী জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে গ্রেফতারের আগে? আনারুল বলছেন, গ্রামবাসীরা মিথ্যে অভিযোগ করছে তাঁর বিরুদ্ধে। ‘আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। উপপ্রধানের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। হাসপাতাল থেকে থানায় এসেছি। সিসিটিভিতে তার প্রমাণ আছে। কেউ দেখাক আমি ওই সময় গ্রামে গিয়েছিলাম।’

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন যে, ‘আমি এখন আর কিছু মন্তব্য করছি না। আমি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব। ডেপুটি এসপি-র সঙ্গে কথা বলব। মুখ্যমন্ত্রী যখন বলে দিয়েছেন, আমি আমাদের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব। আমি তো ছিলাম না ওখানে। আমার বাড়ি সন্ধিপুর, আর এটা নিশ্চিন্তপুর, অনেক দূর। ঘটনার সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম। আমরা রাজনীতি করি, মানুষের সঙ্গে এরকম ব্যবহারে বিশ্বাস করি না।’

উল্লেখ্য, গ্রামবাসীদের অভিযোগ সে রাতে ওই আনারুলের নির্দেশেই আগুন লাগানো হয়েছে শুধু নয়, আনারুলই পুলিশকে আটকে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি নিহতদের দেহ তাঁদের পরিজনদের হাতে তুলে না দিয়ে সাততাড়াতাড়ি কবর দিয়ে দেওয়া হয়। 

আজ মুখ্যমন্ত্রী বগটুই গ্রামে পৌঁছে বলেন, ‘‌দোষীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। পুলিশকেও দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। তদন্ত তদন্তের পথে চলবে। আমি কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করব না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যে পুলিশ অফিসার জড়িত, তাঁদেরও ছাড়া হবে না।’ এরপরই আনারুল আত্মসমর্পণ না করলে, তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়। 

 

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন