বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ বাংলার নববর্ষ। তবে নববর্ষের পাশাপাশি দিনটি বিশ্ব শিল্পকলা দিবস হিসেবেও পরিচিত। আর এই বিশেষ দিনে নিজের অপরূপ শিল্পকলার নিদর্শন দেখালেন নদীয়ার শিল্পী গৌতম সাহা। মুগডালের ওপর মাটি দিয়ে মাত্র ৭ মিলিমিটারের একটি গণেশ মূর্তি গড়ে তাক লাগালেন সকলকে।
জানা গিয়েছে, এই প্রতিভাবান শিল্পী গৌতম সাহা নদীয়ার নবদ্বীপ শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্রতাপ নগর এলাকার বাসিন্দা। গৌতম বাবু পেশায় একজন আঁকার শিক্ষক। তাঁর বাবা ছিলেন আকাশবাণীর এক শিল্পী। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে সংস্কৃতি ও শিল্পকলার বরাবর চর্চা ছিল। সেখান থেকেই নিজস্ব প্রতিভা থেকে নতুন কিছু সৃষ্টির নেশা শৈশব থেকেই তাঁকে তাড়া করে বেড়াত।
গৌতম বাবু জানিয়েছেন, দেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউন জারি হওয়ার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু কখনই ভেঙে পড়েননি। অদম্য ইচ্ছেশক্তি ও আগ্রহের জোরে এই ধরনের নতুন শিল্পকলা সৃষ্টির কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে কাজের পরিসর। সৃষ্টি করতে থাকেন একের পর এক মূর্তি।
অতীতে তিনি কখনও দেশলাই কাঠির ওপর মা কালীর মূর্তি, রাধাকৃষ্ণের মূর্তি, এক দানা চালের ওপর মা দুর্গার মূর্তি সহ একাধিক মনীষীর মূর্তিও তৈরি করেছেন। এবারে মুগ ডালের ওপর মাটি দিয়ে তার উপর রং করে গণেশ মূর্তি তৈরি করে নজির গড়েছেন তিনি। জানিয়েছেন মূর্তি তৈরি করতে তাঁর সময় লেগেছে ১০ দিনের মত।
লকডাউন যেমন বহু মানুষের থেকে প্রিয়জন সহ একাধিক জিনিস কেড়ে নিয়েছে তেমন অনেককে অনেক কিছু দিয়েওছে। যেমন লকডাউনের জন্যই গৌতম বাবু নিজের শিল্পসত্ত্বার হদিশ পেতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে নতুন কিছু সৃষ্টি ও ভালোলাগার তাগিদ থেকেই এই ধরনের কাজ তিনি করে থাকেন।
তবুও তাঁর কণ্ঠে আক্ষেপের সুর এখনও শোনা যায়। তিনি জানান এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংগঠন থেকে ডাক পড়েনি তাঁর। তবুও নিজের লক্ষ্য থেকে কখনও বিচ্যুত হতে চান না গৌতম বাবু। এভাবেই আগামী দিনে আরও নতুন নতুন সৃষ্টি তিনি করবেন। এমনকি কেউ যদি তাঁর কাছে এই শিল্পকলা শিখতে চায় তাহলে তিনি শেখাতেও রাজি আছেন।